শ্রদ্ধেয় আম্মু,

শুরুতে আমার সালাম নিও। আজকে আমি তোমাকে আমার মনের কিছু অব‍্যক্ত কথা বলতে চাই। অব‍্যক্ত অনুভূতি প্রকাশের আনন্দটাই অন‍্যরকম। সেটা আজ খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারছি। প্রথমেই তোমাকে অসংখ্য ধন‍্যবাদ জানাই আমাকে পৃথিবী নামক এই অভূতপূর্ব গ্রহের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন‍্য। যদিও তোমাকে হাজারবার ধন্যবাদ দিলেও আমার কাছে সঞ্চিত তোমার ঋণ কখনো শেষ হবে না। তবুও ধন‍্যবাদ জানাচ্ছি! 

প্রিয় আম্মু, আমি জানি, আমার সাফল্যে তুমি কতটা খুশি হও। সেইসঙ্গে কোনো ব‍্যর্থতায় তুমি কখনো আমাকে সান্ত্বনা দিতেও ভুল করো না। ক্ষুদ্র এই জীবনে যে অনেক বৃহৎ সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে এবং সেইসঙ্গে শান্ত মস্তিষ্কে যে সেগুলো সমাধান করতে হবে - এই উপলব্ধি তো তোমার কাছ থেকেই শেখা। আমার যেকোনো সমস্যায় তোমার কাছ থেকে আমি কোনো না কোনোভাবে সমাধান পেয়েছি। 

আম্মু, আমি চাই তোমাকে এসবকিছুর প্রতিদান দিতে! যত যাই করি না কেন, মায়ের ঋণ তো কখনোই পরিশোধ‍্য নয়। লক্ষ- কোটিবার চেষ্টা করা হলেও এটি অসম্ভব। তবুও আমার ইচ্ছেটুকু আমি তোমায় জানাতে চাই। আমি চাই, ভবিষ্যতে আমি যেন একজন বিশ্বসেরা ডাক্তার হতে পারি। আমার আকাঙ্ক্ষা, আমি যেন তোমায় আমার জন‍্য গর্বিত অনুভব করাতে পারি। সবাই যেন তোমায় ডাক্তারের মা বলে চেনে। 

তোমার মতো হাজারো মায়েদের চিকিৎসা যেন আমি করতে পারি। তাদের ভালোবাসা আর দোয়ার ছায়াতলে যেন আমার আশ্রয় হয়, ঠিক যেমন এখন সবসময় থাকি তোমার হৃদয়ের গহীনে। সৃষ্টিকর্তা যদি চান তবে নিশ্চয় সেই স্বপ্ন পূরণ হবে। স্বপ্ন পূরণের দিন তোমায় নিয়ে মেডিকেল কলেজের সামনে একটি ছবি ক‍্যামেরাবন্দি করবো। আর সেই সাফল‍্য উৎসর্গ করব আমার গর্ভধারিণীকে। ভালোবাসি তোমায় অনেক আম্মু! পরিশেষে বলতে চাই, তোমার মেয়েকে এভাবেই সবসময় ভালোবাসার চাদরে আগলে রেখো আর আমার ভুলগুলো শুধরে দিতে সবসময় পাশে থেকো।

নবম শ্রেণি, ডাঃ খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ‍্যালয়, চট্টগ্রাম।