ফেসবুকের ফ্রেন্ডলিস্টে যাদের রাখবেন না
অনামিকা একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। ২০১৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। অ্যাকাউন্ট খোলার পর থেকে এখন পর্যন্ত তাকে বন্ধুত্বের অনুরোধ পাঠাচ্ছেন অনেক মানুষ। সবাইকে তিনি ফেসবুকে বন্ধু হিসেবে রাখছেন না। এর কারণ হিসেবে তিনি মনে করেন, ফেসবুকে অপরিচিত মানুষকে যত কম স্থান দেওয়া যায় ততই উত্তম। তাছাড়া যারা তাকে বন্ধুত্বের অনুরোধ করেছেন, তারা সবাই তার অনুসরণকারী হয়ে থাকছেন।
ফেসবুকের বন্ধুতালিকায় যেসব মানুষকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত সে বিষয়ে অনামিকা বলেন, ‘খুব কাছের মানুষকেই বন্ধুতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজন ও সহকর্মীদের ফেসবুকে বন্ধু হিসেবে রাখা যায়।’
বিজ্ঞাপন
২০০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের যাত্রা শুরু হওয়ার পর থেকে বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। বর্তমান সময়ে বিশ্বে যত জন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছেন তাদের মধ্যে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যাই বেশি। সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমে ৫ হাজার বন্ধু রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু অনেকের সারা জীবনেও এত বন্ধু জোগাড় করা সম্ভব হয় না। আরেকজন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী দীপক বলেন, ‘ফেসবুকে বন্ধু হিসেবে কারা প্রাধান্য পাবে, সেটি নির্ধারণ করবেন ব্যবহারকারী নিজে। তার রুচি ও আত্মমর্যাদাবোধ ফেসবুকের বন্ধুতালিকা দেখে বোঝা যাবে।’
অনামিকা ও দীপক উভয়েই ফেসবুকে বন্ধু রাখার বিষয়ে সচেতন। ফেসবুকে যেসব মানুষকে বন্ধুতালিকায় রাখা উচিত নয়, সেসব মানুষ সম্পর্কে জানাব–
অপরিচিত মানুষ বন্ধু হতে চাইলে
যার সঙ্গে কখনও দেখা হওয়ার সম্ভাবনা নেই তিনি যদি ফেসবুকে বন্ধুত্বের অনুরোধ পাঠান তাহলে তাকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ না করাই ভালো। অপরিচিত মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখলে বিভিন্ন বিপদের আশঙ্কা থাকে। তাই অপরিচিত মানুষ যতই ইনবক্সে বন্ধুত্বের আহ্বান করুক, ফেসবুকে তাকে বন্ধু হিসেবে নেওয়ার আগে ভেবে দেখুন।
ছবিহীন অ্যাকাউন্টকে না বলুন
যদি কোনো আইডিতে ছবি না থাকে বা অন্য কোনো ছবি থাকে তাহলে সে আইডিকে বন্ধুতালিকায় স্থান দেওয়া যাবে না। কারণ অনেকে ছবি না দিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিতে পারে। ব্যবহারকারীর ছবি না পেলে বন্ধুত্বের অনুরোধ গ্রহণ করা উচিত নয়।
অশালীন মন্তব্যকারীকে ফেসবুকে না রাখা
ফেসবুকে এমন অনেকে রয়েছেন যারা অযথা উত্তেজনা ছড়াতে চান। নিজ মতের বাইরে গেলেই কটূক্তি করেন তারা। এছাড়া নিজেদের পোস্টেও অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ বিষয়ে কথা বলেন। এমন মানুষকে ফেসবুকের বন্ধুতালিকায় রাখা উচিত নয়। যদি কারও বন্ধুতালিকায় এমন মানুষ থাকেন, তাহলে দ্রুত তাকে বাদ দেওয়া কর্তব্য।
অনাকাঙ্ক্ষিত পোস্টকারীর অনুরোধ গ্রহণ করবেন না
ফেসবুকে এমন অনেকে রয়েছেন যারা উদ্দেশ্যবিহীন এবং অর্থহীন সময় নষ্ট করেন। অনেকে নিজেকে অনর্থকভাবে প্রচারের জন্য পোস্ট করেন। যারা এ ধরনের পোস্ট করেন, তারা যদি আপনাকে কখনও বন্ধুত্বের অনুরোধ করেন তবে তাদের এড়িয়ে যান। ইনবক্সেও যদি তারা অনুরোধ গ্রহণ করার আবদার নিয়ে আসেন, তবে তাদের ব্লক করতে পারেন।
বেনামি অ্যাকাউন্ট থেকে অনুরোধ নেওয়া যাবে না
কোনো ফেক অ্যাকাউন্ট থেকে বন্ধুত্বের অনুরোধ এলে সে অনুরোধ গ্রহণ করা যাবে না। বেনামি আইডিও এর মধ্যে পড়ে। ব্যক্তির নাম ছাড়া কোনো আইডি থেকে বন্ধুত্বের অনুরোধ এলে সেটি গ্রহণ করা যাবে না।
এইচএকে/এইচএন/এএ /এমএমজে