যারা নিয়ম মাফিক কাঁচা বাদাম খেয়ে থাকেন, তাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর উপাদান প্রবেশ করে। যেমন- কাঁচা বাদামে রয়েছে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ওমেগা ৩, আয়রন, ভিটামিন-ই। কাঁচা বাদামের পুষ্টিগুণ হাড়ের জোর বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি, মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায় এবং ক্যানসারের আশঙ্কাও দূরে রাখে।

বাদামের মধ্যে উপস্থিত প্রোটিন আমাদের শরীরে মাংসের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। যে সকল মানুষ প্রতিনিয়ত শরীরচর্চা করেন তাদের ক্ষেত্রে কাঁচাবাদাম খুবই ভাল খাবার। এর কারণ শরীরচর্চা করার পরবর্তীতে শরীরে অনেকটা প্রোটিনের প্রয়োজন হয় এবং যে প্রোটিন অনায়াসে আপনারা বাদাম থেকে পেয়ে যাবেন। তবে যাঁদের হজমের সমস্যা আছে তাঁরা কাঁচা বাদাম এড়িয়ে চলুন।

ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত করতে ভাল কাজ করে। একটা নির্দিষ্ট বয়সের পরে প্রায় অনেকের হাড়ের বিভিন্ন সমস্যা শুরু হয়। তখন তাদের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। যেমন- তখন শরীরে ক্যালসিয়ামের খুবই দরকার পড়ে। দাঁতের ক্ষয় হওয়া আটকাতেও কাজে আসে বাদাম। এছাড়াও আয়রন রক্তশূন্যতা দূর করে।

রক্তসল্পতায় ভুগলেও কাঁচা বাদাম বিশেষভাবে কার্যকরী। কাঁচা বাদামের মধ্যে উপস্থিত ভিটামিন-ই ত্বকের জন্য খুবই ভাল। নিয়ম মাফিক কাঁচা বাদাম খেলে শরীরে থাকবে সতেজ, বাড়বে উজ্জ্বলতা । ত্বকে কোনরকম বলিরেখা আসবে না। এছাড়াও এই বাদামের মধ্যে উপস্থিত ভিটামিন-ই চুলও ভাল রাখতেও সাহায্য করে।

আপনি চাইলে কাঁচা বাদাম পিষে বাদাম থেকে দুধ বের করে নিয়ে তা খেতে পারেন। না হলে সরাসরি কাঁচা বাদাম জলে ভিজিয়ে রেখে তা চিবিয়েও খেতে পারেন। তবে একমুঠোই খান। বেশি নয়। তবে শরীরে বিশেষ সমস্যা থাকলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন! সূত্র- নিউজ ১৮

এমজে