বেশিরভাগ শিশুই দুধ খেতে পছন্দ করে না। এক্ষেত্রে মা-বাবা দুধের গ্লাসে কিছুটা বৈচিত্র আনতে পারেন। দুধকে শিশুর জন্য সম্পূর্ণ খাদ্য হিসাবে বিবেচনা করা হয়। কারণ এতে সঠিক পরিমাণে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, চর্বি, কার্বোহাইড্রেট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় খনিজ রয়েছে। যা শিশুর সামগ্রিক বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর পছন্দ বুঝে যেকোনো খাবারকে আরও আকর্ষণীয় এবং স্বাদযুক্ত করা যেতে পারে। শিশুদের জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ খাবারটিকে আকর্ষণীয় করার কিছু উপায় জেনে নিন-

মিল্কশেক এবং স্মুদি

ফলের স্মুদি বা শেক দুধকে আকর্ষণীয় করে এবং সেইসঙ্গে পুষ্টিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সাধারণত আম, স্ট্রবেরি, কলা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর মিশ্রণ তৈরি করা হয়ে থাকে। দুধে ফল যোগ করলে খনিজ ও ভিটামিনের সঙ্গে ফাইবারের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। ফল হলো শরীরকে ডিটক্স করার এবং ক্ষতিকারক টক্সিন বের করার সবচেয়ে ভালো প্রাকৃতিক উপায়।

শুকনো ফল এবং বাদাম

বাদাম, কিশমিশ, খেজুর, আখরোট, পেস্তা বা কাজু- এ ধরনের শুকনো ফল দুধের সঙ্গে মেশাতে পারেন। দুধের স্বাদ আরও উপভোগ্য করতে শুকনো রাস্পবেরি/ব্লুবেরির মতো ফলও যোগ করতে পারেন। এসব ফলে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি এবং দুধে থাকে পর্যাপ্ত ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ ইত্যাদি। এগুলোর সংমিশ্রণে দুধ আরও বেশি পুষ্টিকর হয়ে ওঠে।

হলুদ দুধ

হলুদ এবং দুধের সংমিশ্রণ সর্দি এবং কাশি দূর করতে কাজ করে, কারণ উভয়ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। দুই সপ্তাহে একবার বা শিশুর সর্দি-কাশির উপসর্গ দেখা দিলে হলুদের দুধ খেতে দিতে পারেন। এটি গ্রীষ্মের চেয়ে বর্ষা এবং শীত মৌসুমের জন্য বেশি উপযুক্ত। এক বছরের বেশি বয়সী শিশুকে হলুদ দুধ খেতে দেওয়া যেতে পারে। প্রাথমিকভাবে অল্প পরিমাণে শুরু করুন এবং তৈরি করার জন্য সব সময় খাঁটি হলুদের গুঁড়া ব্যবহার করুন।

সিরিয়াল মিশ্রিত

পোরিজ তৈরির জন্য দুধে যেকোনো সিরিয়াল মেশাতে পারেন। শিশু শুধু দুধ থেকে প্রোটিন, খনিজ পদার্থ, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন পায়, সেইসঙ্গে শস্য থেকে শর্করা এবং অন্যান্য খনিজ/ভিটামিনও পায়। আপনার সন্তানের পছন্দের ওপর নির্ভর করে বিভিন্নভাবে তৈরি করতে পারেন। দুধে চিনির বদলে খেজুর বা মধুর মতো প্রাকৃতিক মিষ্টি ব্যবহার করা যেতে পারে

মধু, দুধ ও অ্যাভোকাডো

অ্যাভোকাডো প্রোটিন, চর্বি, একাধিক খনিজ এবং ভিটামিনের পাশাপাশি ডায়েটারি ফাইবারের সমৃদ্ধ উৎস। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। মধুর সঙ্গে মিশিয়ে অ্যাভোকাডো খেলে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং ভালো স্বাদও পাওয়া যায়।

হিন্দুস্তান টাইমস অবলম্বনে