গরমের তীব্রতায় না পারতে বাইরে বের হতে চাচ্ছেন না কেউ। কিন্তু বিভিন্ন প্রয়োজনে বের তো হতেই হয়। এদিকে রোদ ও গরম বাতাসে আপনার অবস্থা নাজুক হতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, এই কারণে অসুখে পড়ারও ভয় থাকে। অতিরিক্ত গরমের সময়ে মানিয়ে নিতে পারেন না বেশিরভাগ মানুষ। যে কারণে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে, যারা রোদের ভেতরে বাইরে কাজ করেন, তাদের ঝুঁকি বেশি। 

এই গরমে সবার অবস্থাই নাজেহাল। তাই দরকার বাড়তি সতর্কতা। নয়তো বাড়বে হিট এক্সহউশন, হিট ক্র্যাম্প, হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা বাড়বে। এই তীব্র রোদে বাইরে বের হলে এ ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন। জেনে নিন করণীয়-

হিট এক্সহউশন

গরমের তীব্রতার সঙ্গে আমাদের শরীর মানিয়ে নিতে পারে না। যে কারণে প্রাথমিকভাবে দেখা দেয় হিট এক্সহউশন। এক্ষেত্রে লক্ষণ হলো মাথা ঝিমঝিম করা, মাথা ঘোরা, অনেক বেশি ক্লান্তি ইত্যাদি। সেইসঙ্গে ঘামের কারণে শরীর থেকে বের হয়ে যেতে থাকে পানি ও ইলেকট্রোলাইটস। এমন অবস্থা হলে শীতল কোনো জায়গা দেখে বসে পড়ুন। পানি পান করুন। ওরস্যালাইনও পান করতে পারেন। এরপর কিছুটা সুস্থ অনুভব করলে বাড়িতে গিয়ে বিশ্রাম নিন।

হিট ক্র্যাম্প​

অতিরিক্ত গরমে আমাদের শরীরে সৃষ্ট ঘামের কারণে পানি ও ইলেকট্রোলাইটস বের হয়ে যায়। এ কারণে অনেকের পেশিতে টান ধরে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পায়ের পেশিতে এই সমস্যা বেশি হয়। তবে শরীরের অন্যান্য জায়গায়ও এই সমস্যা হতে পারে। রোদের বের হলে যদি এমন সমস্যা হয় তবে সঙ্গে সঙ্গে বসে পড়ুন। এরপর পর্যাপ্ত পানি পান করুন। আর যদি ব্যথা থাকে তবে সেই জায়গায় বরফ দিতে পারেন। এতে ব্যথা কমবে।

হিট স্ট্রোক​

গরমের সময়ে সবচেয়ে বড় বিপদের নাম হতে পারে হিট স্ট্রোক। বাইরের তাপমাত্রার সঙ্গে শরীর মানিয়ে নিতে পারে না। যে কারণে শরীরের ভেতরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। এমন অবস্থায় রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়, হার্ট রেট বেড়ে যায়, এমনকী রোগী অজ্ঞান পর্যন্ত হয়ে যেতে পারেন। এমন অবস্থা দেখা দিলে রোগীকে ঘরে নিয়ে শুইয়ে দিতে হবে। ঘরের ফ্যান বা এসি চালিয়ে দিতে হবে। তার কাপড় ঢিলে করে দিতে হবে। ঠান্ডা পানি দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। পানি পান করাতে হবে। এরপর দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।

এইসময় অবলম্বনে