ঈদের খাবারে কী রাখবেন, কী রাখবেন না
ঈদ মানে নানা ধরনের সুস্বাদু খাবারের আয়োজন। সকালে মিষ্টিমুখ করে ঈদের নামাজে যাওয়া, ফিরে এসে কোর্মা, পোলাও, কাবাব, কারি কত কী খাওয়ার ধুম পড়ে যায়! এবার ঈদ প্রচণ্ড গরমের সময়ে। তাই ঈদের দিনের খাবারের তালিকার দিকে বিশেষ মনোযোগী হওয়া জরুরি। কারণ, শীতের সময়ে ইচ্ছেমতো খাওয়া-দাওয়া করা গেলেও গরমের সময়ে তা সম্ভব হয় না। এসময় খাবারে একটু এদিক-সেদিক হলেই হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সারামাস রোজা থাকার কারণে ঈদের দিনটিতে আপনার অনেককিছুই খেতে ইচ্ছা হতে পারে। কিন্তু মনে রাখা জরুরি, আপনার পেট গত এক মাস ধরে ভিন্ন খাবারের রুটিনে অভ্যস্ত ছিল। তাই হঠাৎ করে যা মন চায় তাই খেতে যাবেন না। একটু রয়ে-সয়ে খেতে হবে। নয়তো পেটের নানা সমস্যায় আপনাকে ভুগতে হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, ঈদের খাবারের তালিকায় কী রাখবেন, কী রাখবেন না-
বিজ্ঞাপন
ঈদের দিন যেহেতু গরম থাকবে তাই এমন খাবার খেতে হবে যা পেট ও শরীর ঠান্ডা রাখে। ঈদের সকালে শরবত, স্মুদি, ফ্রুট সালাদ ইত্যাদি খেতে পারেন। পায়েস, ফিরনি খেলে যদি সমস্যা হয় তবে এর বদলে খেতে পারেন দই বা দই দিয়ে তৈরি লাচ্ছি। এতে পেট ঠান্ডা থাকবে।
ঈদের দিন অনেকের বাসায় বেড়াতে যাওয়া হবে। সেখানে নানা পদের আয়োজন থাকতে পারে। তবে আপনি আপনার শরীরের অবস্থা বুঝে সেই অনুযায়ী খাবেন। কেমিক্যালযুক্ত শরবত বা জুসের বদলে লেবুর শরবত, ডাবের পানি ইত্যাদি খেতে পারেন। বাড়িতে সুস্বাদু যেসব খাবার রান্না হবে সেখান থেকে অল্প করে খেতে পারেন। একসঙ্গে অনেক খাবার খেলে তা বদহজমের কারণ হতে পারে।
ঈদের আয়োজনে মাংস-পোলাও তো থাকবেই। তবে এ ধরনের ভারী খাবার কম খাওয়াই ভালো। অতিরিক্ত মসলাদার খাবার খেলে এই গরমে তা আপনার অস্বস্তির কারণ হতে পারে। তাই স্বস্তি পেতে চাইলে হালকা ধরনের খাবার খেতে হবে। গরম বলে কোল্ড ড্রিংকস খেতে যাবেন না। এতে শরীরের আরও ক্ষতি হতে পারে। শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি না হয়, এমন খাবার খেতে হবে। ঈদের একদিন মুখরোচক খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া চলবে না। কারণ এতে ভুগতে হবে আপনাকেই।
ঈদের দিন বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে শিশুর খাবারের দিকেও। শিশুরা এদিন বাইরের নানা খাবার খেতে চাইতে পারে। অনেকে আবার সালামির টাকা হাতে পেয়ে বাইরের ক্ষতিকর খাবার কিনে খায়। তাই সেদিকে নজর দিতে হবে। এই গরমে বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে তারা অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। তাই এ ধরনের খাবার থেকে তাদের দূরে রাখতে হবে। এর বদলে ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে দিন।
ঈদের দিন বলেই যা খেতে মন চায় তা খেয়ে ফেলা যাবে না। কারণ আমাদের শরীর তো আর উৎসব বোঝে না। তাই নিজেকে কীভাবে সুস্থ রাখা যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। খেতে হবে পরিমিত এবং পুষ্টিকর খাবার। এতে সুস্থ থাকা সহজ হবে।