দাম্পত্য সম্পর্কে ঝগড়া কিংবা মনোমালিন্য খুব স্বাভাবিক ঘটনা। দু’জন মানুষ একসঙ্গে সারা জীবন চলতে গেলে এমন অনেককিছুই ঘটতে পারে। কখনো কখনো হয়তো এমনকিছু ঘটে যে সমস্যাটি ঠিক কোথায় তা দু’জনের একজনও বুঝে উঠতে পারে না। তখন সাহায্য প্রয়োজন হয় দক্ষ কারও পরামর্শের। একেই বলা হয় কাপল থেরাপি। বিশেষজ্ঞ কারও পরামর্শ মেনে দু’জন সমস্যাগুলোর সমাধানের চেষ্টা করলে একটা সময় তা আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারে। তার আগে চলুন জেনে নেওয়া যাক, কখন বুঝবেন আপনাদের কাপল থেরাপি প্রয়োজন-

কমিউনিকেশন প্রবলেম

এটি মূলত একে অন্যকে বুঝতে না পারা থেকে তৈরি হয়। যদি সাধারণ কথা বলতে গেলেও একটা সময় ঝগড়া শুরু হয়ে যায় তবে বুঝতে হবে আপনাদের মধ্যে কমিউনিকেশন প্রবলেম রয়েছে। যে কারণে একে অন্যকে ঠিকভাবে বুঝতে পারছেন না। এমন অবস্থায় আপনাদের কাপল থেরাপির প্রয়োজন হতে পারে।

বিশ্বাসের সমস্যা

আপনাদের সম্পর্কের মধ্যে বিশ্বাসের সমস্যা যেমন বিশ্বাসঘাতকতা, অসততা বা গোপনীয়তা থাকলে তা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। কাপল থেরাপি আপনাদের এই সমস্যাগুলো দূর করতে এবং বিশ্বাস পুনর্নির্মাণে সহায়তা করতে পারে।

মানসিক দূরত্ব

আপনি এবং আপনার সঙ্গী যদি আবেগগতভাবে পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন বা দূরত্ব বোধ করেন তবে কাপল থেরাপি নিতে পারেন। এই থেরাপি আপনাকে অন্তর্নিহিত সমস্যাগুলো শনাক্ত এবং সমাধান করতে সাহায্য করবে।

প্রত্যাশার ভিন্নতা

যদি আপনাদের সম্পর্ক নিয়ে দু’জনের মধ্যে আলাদা আলাদা প্রত্যাশা থাকে তবে তা এগিয়ে নেওয়া খুব মুশকিল হয়ে যাবে। তাই এরকম ক্ষেত্রে দ্বারস্থ হতে পারেন কাপল থেরাপির। কাপল থেরাপি আপনাদের একে অপরের প্রত্যাশা বুঝতে এবং মানিয়ে নিতে সাহায্য করবে।

ঘনিষ্ঠতা না থাকা

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঘনিষ্ঠতা থাকা জরুরি। কারণ শারীরিক বা মানসিক ঘনিষ্ঠতার অভাবে সম্পর্ক ভেঙে যেতে পারে। কাপল থেরাপি আপনাদের মূল কারণগুলো শনাক্ত এবং সম্পর্ক উন্নত করতে সাহায্য করবে।

লাইফ ট্রানজিশন

জীবনের বড় কোনো পরিবর্তন যেমন নতুন বিয়ে, সন্তান হওয়া বা বড় কোনো ক্ষতি মোকাবিলার মধ্য দিয়ে গেলে কাপল থেরাপি নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। কারণ এমন অবস্থায় সম্পর্কের অবনতি হতে পারে।

হিন্দুস্তান টাইমস অবলম্বনে