গরমের সময়ে রোজা। তাই সবার আগে খেয়াল রাখতে হবে খাবারের দিকে। কারণ আপনি সাহরি ও ইফতারে যেসব খাবার খাবেন, সেগুলোই প্রভাব ফেলবে আপনার শরীরে। স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খেলে সুফল পাবেন নিশ্চয়ই, তেমনই অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলেও ভুগতে হবে বিভিন্ন সমস্যায়। 

বিশেষজ্ঞরা বলেন, গরমের সময়ে স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় প্রচুর তাজা ফল এবং শাকসবজি, চর্বিহীন প্রোটিন, শস্যদানা এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি জাতীয় খাবার থাকা উচিত। এই সময়ে কিছু খাবার আমাদের শরীরের আরও বেশি ক্ষতির কারণ হতে পারে। সেগুলো এড়িয়ে চলা উচিত। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই গরম ও রোজায় কোন খাবার ও পানীয়গুলো এড়িয়ে চলবেন-

অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয়

যে ধরনের পানীয়তে চিনি বেশি থাকে, যেমন কোল্ড ড্রিংকস, ফলের রস এবং স্পোর্টস ড্রিঙ্কস, এ ধরনের পানীয় ডিহাইড্রেশন এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই এই রমজান ও গরমে এ জাতীয় পানীয় বাদ দিন খাবারের তালিকা থেকে। এর পরিবর্তে বিশুদ্ধ পানি, চিনি ছাড়া চা, তাজা ফলের রস, ডাবের পানি ইত্যাদি পান করতে পারেন।

দুগ্ধজাত খাবার

দুগ্ধজাত খাবার যেমন পনির, আইসক্রিম এবং দুধ এসময় যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই ভালো। কারণ গরম আবহাওয়ায় এ ধরনের খাবার হজম করা কঠিন। এসময় যদি দুগ্ধজাত খাবার খেতে চান তবে দইয়ের মতো হালকা খাবার বেছে নিতে পারেন। দই খেলে তা ভালো হজমেও সহায়তা করবে।

ভারী এবং চর্বিযুক্ত খাবার

ভারী এবং চর্বিযুক্ত খাবার যেমন ভাজা খাবার, পিজ্জা, বার্গার ইত্যাদি খাবার এসময় এড়িয়ে চলুন। কারণ এ ধরনের খাবার খেলে তা গরম আবহাওয়ায় আপনার অস্বস্তির কারণ হতে পারে। এর পরিবর্তে, হালকা এবং তাজা খাবার যেমন সালাদ, ফল এবং শাকসবজি বেছে নিন।

অতিরিক্ত মসলাদার খাবার

অতিরিক্ত মসলাদার খাবার শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। যে কারণে এই গরমে আপনার আরও বেশি গরম অনুভূত হতে পারে। মসলাদার খাবার খেতে বেশি পছন্দ করলে তা অল্প করে খান। ইফতারে ভাজাপোড়ার পরিমাণ যতটা সম্ভব কমিয়ে আনুন। এর বদলে তালিকায় যোগ করুন বিভিন্ন ধরনের সালাদ। পছন্দের মসলাদার খাবারগুলো নাহয় শীতের সময়ে খেলেন!

অ্যালকোহল

অ্যালকোহল পান করলে তা আপনাকে ডিহাইড্রেট করে দেবে এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তাই এ ধরনের পানীয় শুধু গরমে নয়, সব সময়েই এড়িয়ে চলুন।

হিন্দুস্তান টাইমস অবলম্বনে