রোজায় ডাবের পানি খেলে কী হয়?
গরমের সময়ে রোজা। সারাদিন পর পানির তৃষ্ণাটাই থাকে বেশি। এদিকে দিনের বেলা নানা কাজের প্রয়োজনে বাইরে বের হতে হয় আমাদের। ঘামের কারণে শরীর থেকে অনেকটা পানি বের হয়ে যায়। সব মিলিয়ে দিনশেষে তৈরি হয় পানির ঘাটতি। এই ঘাটতি মেটাতে ইফতারে পানি, শরবত, বিভিন্ন ধরনের রসালো ফল তো খাবেনই সেইসঙ্গে রাখতে পারেন ডাব।
ইফতারে কেমিক্যালযুক্ত পানীয় বা কোল্ড ড্রিংকস খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিন। এর বদলে ইফতারের তালিকায় যুক্ত করুন ডাবের পানি। বিশেষজ্ঞরা বলেন, গরমে পানির পরে আমাদের তালিকায় থাকা উচিত ডাবের পানি। কারণ এটি আমাদের শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে কাজ করে। ডাবের পানিতে থাকে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ইলেকট্রোলাইট। তাই এই পানি শরীরের নানা ঘাটতি দূর করে। জেনে নিন রোজায় ডাবের পানি খাওয়ার উপকারিতা-
বিজ্ঞাপন
পানির ঘাটতি দূর করে
গরমের সময়ে ডাবের পানি এক প্রকার আশীর্বাদ বলা যায়। কারণ আমাদের শরীরে পানির ঘাটতি মেটাতে কাজ করে এই পানি। এসময় ঘামের কারণে শরীর থেকে পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় উপাদান বেরিয়ে যায়। সেইসঙ্গে তৈরি হয় পানির ঘাটতিও। তাই শরীরে সৃষ্ট পানিশূন্যতা দূর করতে খেতে পারেন ডাবের পানি। এই পানি শরীরে পানিশূন্যতা দূর করার পাশাপাশি ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য ঠিক রাখতেও কাজ করে। তাই ইফতার কিংবা ইফতার পরবর্তী সময়ে ডাবের পানি পান করুন।
অল্প ক্যালোরি
ইফতারে তৃষ্ণা লাগাটা খুবই স্বাভাবিক। তাই বলে কেমিক্যালযুক্ত কোনো পানীয়তে চুমুক দিতে যাবেন না যেন। এর বদলে খান ডাবের পানি। কারণ এই পানি মিষ্টি হলেও এতে ক্যালোরির পরিমাণ থাকে খুবই কম। যে কারণে একসঙ্গে অনেকটা ডাবের পানি খেলে ওজন বৃদ্ধির কোনো ভয় থাকে না। তাই নিশ্চিন্তে খেতে পারেন এই পানি।
ফ্যাট ও কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে না
ডাবের পানির ৯৪ শতাংশই পানি। এই পানিতে নেই ফ্যাট ও কোলেস্টেরল। তাই ডাবের পানি পান করলে ফ্যাট বা কোলেস্টেরল বৃদ্ধির ভয় থাকে না। যে কারণে হার্টের সমস্যা কিংবা কোলেস্টেরলের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরাও নিশ্চিন্তে ডাবের পানি খেতে পারবেন। আপনার প্রতিদিনের ইফতারের আয়োজনে রাখুন উপকারী ডাবের পানি।
কিডনিতে পাথর হতে বাধা দেয়
কিডনিতে খনিজ জমার কারণে একটা সময় তা পাথরে রূপ নেয়। যারা তুলনামূলক কম পানি পান করেন, তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যার আশঙ্কা থাকে বেশি। এই অসুখ প্রতিরোধের অন্যতম ভালো উপায় হতে পারে নিয়মিত ডাবের পানি খাওয়া। কারণ নিয়মিত এই পানি খেলে তা কিডনিতে খনিজ জমার সুযোগ বন্ধ করে দেয়। তাই কিডনি ভালো রাখতে ইফতারে পান করুন ডাবের পানি।
ত্বক ভালো রাখে
ডাবের পানিতে থাকে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রপার্টিজ। যে কারণে সব ধরনের জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি যোগায় এই পানি। ডাবের পানিতে থাকা কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে ফ্রি র্যাডিক্যালস দূর করে দিতে সাহায্য করে। ফলে ত্বকের নানা অসুখের আশঙ্কা কমে। তাই ইফতারে নিয়মিত রাখুন ডাবের পানি।