বিবাহিত জীবন আনন্দের হওয়া জরুরি। মানুষ সুখে থাকার আশায়ই বিয়ের মতো বন্ধনে জড়ায়। কিন্তু কখনো কখনো বিবাহিত জীবন একঘেয়ে হয়ে ওঠে। এখানে একপাক্ষিকভাবে কাউকে দোষারোপ করে লাভ নেই। কারণ দু’জনের ছোট ছোট ভুল কিংবা অবহেলায় এক সময় বাড়ে দূরত্ব, সম্পর্কে চলে আসে একঘেয়েমি। 

একইভাবে দিন কাটাতে থাকলে একটা সময় বিরক্তির জন্ম নেবে। তাই সম্পর্ক যতই পুরনো হোক, তাতে নতুনত্ব রাখতে হবে। দু’জন দু’জনকে মুগ্ধ করার মতো প্রচেষ্টা থাকতে হবে। নয়তো একটা সময় একঘেয়েমি এসে ভর করবে। তাই এ ধরনের পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে প্রচেষ্টা চালাতে হবে দু’জনকেই। কিছু কাজ বিবাহিত জীবনে একঘেয়েমি নিয়ে আসে। সেগুলো বাদ দিতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো কী-

সময় না দেওয়া

বর্তমান বেশিরভাগ দম্পতিই চাকুরিজীবী। যে কারণে ঘরের বাইরেই দুজনের অনেকটা সময় কেটে যায়। দিনশেষে পরস্পরকে সময় দেওয়ার মতো সময় আর তাদের থাকে না। এর প্রভাব পরে সম্পর্কে। একটা সময় তৈরি হয় দূরত্বের। প্রতিদিন একই রুটিন, একই অভ্যাসের কারণে সম্পর্কে চলে আসে একঘেয়েমি। তাই যত ব্যস্ততাই থাকুক, পরস্পরকে সময় দিন।

ভালোবাসা​র প্রকাশ না করা

বেশিরভাগ বিবাহিত জুটিই এই কাজ করেন। একটা সময় ভালোবাসার কথা মুখে প্রকাশ করার কথা ভুলে যান। মনে যতই ভালোবাসা থাকুক, মুখে অবশ্যই জানাতে হবে। কারণ মানুষ কখনো আরেকজনের মন পড়তে পারে না। তাই মনের কথা মুখেও জানান। আপনার স্বামী বা স্ত্রীকে ভালোবাসার কথা জানান। আপনার মুখের দু’টি সুন্দর কথা তার দিনটিও সুন্দর করে দিতে পারে। কেটে যেতে পারে একঘেয়েমির মেঘ।

হাসিখুশি না থাকা

জীবন থেকে হাসি-আনন্দ মুছে ফেলে অনেকে মুখটা ভার করে রাখেন। সবকিছুতেই তারা নেতিবাচকতা খুঁজে বেড়ান। নিজের জীবন নিয়েও থাকেন না সন্তুষ্ট। একই রুটিনে চলতে থাকে নিরানন্দ জীবন। এই গড়পড়তা জীবন কি কখনো ভালোলাগার বিষয়? তাই আনন্দ খুঁজে নিতে শিখুন। ছোট ছোট বিষয়ে খুশি থাকুন। জীবনের ইতিবাচক দিকগুলো খুঁজে বের করুন। এতে ভালো থাকবেন আপনারাই।

ঘনিষ্ঠতা না থাকা

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঘনিষ্ঠতা থাকা জরুরি। বিয়ের কয়েক বছর পার হলেই হারাতে শুরু করে শারীরিক আকর্ষণ। এর ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই চলে আসে দূরত্ব। তাই পরস্পরের কাছাকাছি থাকুন। এতে সম্পর্কে উষ্ণতা বজায় থাকবে। দু’জন দু’জনের প্রতি আকর্ষণ ধরে রাখতে নিজেকে ফিট রাখুন। এতে ঘনিষ্ঠতা থাকবে এবং একঘেয়েমি দূর হবে।

প্রতিদিন ঝগড়া-ঝাটি

আপনাদের দু’জনের প্রতিদিনের ঝগড়া-ঝাটি একটা সময় বড় অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বিবাহিত জীবনে। পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ কমে যাবে। তৈরি হবে বিতৃষ্ণা। একটা সময় সহ্য হবে না একে অন্যকে। তাই ছোট ছোট ঝগড়া এড়িয়ে চলুন। ছাড় দিতে শিখুন। এটি দু’জনের জন্যই জরুরি।