রোজায় খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের কারণে আমাদের স্বাস্থ্যেও কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। যারা খাবারের বিষয়ে খুব একটা সচেতন নন, তাদের ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা। ইফতারে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভাজাপোড়া ধরনের খাবার খাওয়া হয়। পানি, ফল ও সবজি কম খাওয়া হলেও এই সমস্যা বাড়তে পারে। এদিকে সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকার কারণে শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হয়। গরমে রোজা, ফলে ঘামের কারণেও শরীর থেকে পানি বের হয়ে যেতে পারে। এসব কারণে দেখা দিতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা।

ইফতারে থাকুক নাশপাতি

উপকারী ফলের তালিকায় রয়েছে নাশপাতির নাম। এতে থাকে সরবিটল নামক উপাদান। এই উপাদান মলের নির্গমনে বাঁধা দূর করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে নাশপাতির রস কার্যকরী। ইফতারের আগে দুটি নাশপাতির বীজ ফেলে টুকরো করে নিন। এবার ফলের টুকরাগুলো ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে রস ছেঁকে নিন। এবার এই রসের সঙ্গে দুই চামচ লেবুর রস ও একটি চিমটি লবণ মিশিয়ে পান করুন। ইফতারে এই পানীয় খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ হবে।

লেবু খাবেন যে কারণে

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবু কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কাজ করে। এই ভিটামিনের পাশাপাশি লেবুতে থাকে মিনারেল যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও কাজ করে। ঘরোয়া উপায়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে চাইলে একটি লেবুর অর্ধেকটা নিয়ে রস বের করে নিন। এরপর এককাপ গরম পানিতে লেবুর রস, এক চা চামচ মধু ও আধা চা চামচ জিরা গুঁড়া দিয়ে মিশিয়ে নিন ভালোভাবে। ইফতারে কিংবা ইফতারের পর এই পানীয় তৈরি করে পান করে নিন। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে সহজেই।

আপেল ও মৌরি

ফাইবার সমৃদ্ধ ফল আপেল। এতে আছে ভিটামিন ও মিনারেল। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে আপেলের রস বেশ সহায়ক। এদিকে মৌরিতে থাকে ডায়াটেরি ফাইবার। এটি মলে পানির অংশ যোগ করে মল নরম করে। রোজায় কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে আপেল ও মৌরি মিশিয়ে খেতে পারেন। আপেলের বীজ ফেলে ছোট ছোট টুকরো করে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর তাতে আধা কাপ পানি মিশিয়ে ছেঁকে নিন। আপেলের রসের সঙ্গে আধা চা চামচ মৌরির গুঁড়া মিশিয়ে পান করুন। এটি ইফতার বা সাহরির সময় পান করতে পারবেন।

রোজায় কমলা খাওয়ার উপকারিতা

ইফতারের আয়োজনে কমলা রাখুন। কারণ ভিটামিন সি এর অন্যতম উৎস হলো কমলা। এই ফলে থাকে ভিটামিন সি, মিনারেল ও ডায়াটেরি ফাইবার। ডায়াটেরি ফাইবার মলে পানি শোষণ ক্ষমতা বাড়ায়, ফলে মল নরম হয়। তাই এই রমজানে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে থাকতে কমলার রসের সঙ্গে সামান্য লবণ মিশিয়ে পান করতে পারেন। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য এড়িয়ে সুস্থ থাকবেন।