ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠতে অনেকেরই কষ্ট হয়। এমনকি অ্যালার্ম বেজে বন্ধ হয়ে গেলেও বিছানা ছেড়ে উঠতে মন চায় না। কিন্তু, আপনি যদি সত্যিই সকালে সময়মতো ঘুম থেকে উঠতে চান, তবে রইল বিশেষ কিছু টিপস, যা আপনার জন্য খুব কার্যকর প্রমাণিত হবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো

কখন উঠতে চান আগে সেটা ঠিক করুন
আপনি হয়তো সকাল ৬টায় উঠতে চান। কিন্তু কোনওভাবে আপনি রাতে ভাবলেন সাড়ে পাঁচটায় উঠলে ভালো হয়। এখানেই ভুল করছেন। যখন উঠতে চান, সেটাই চিন্তা করে রাখুন। অবচেতন মন কোনওভাবে দ্বিধায় থাকলে আপনার ঘুমে দারুণভাবে ব্যাঘাত ঘটবে। দেখবেন হয়তো ৬টায় ওঠার জায়গায় আপনার ৪টায় ঘুম ভেঙে গেল। তখন আবার ঘুমোলেন, আর উঠলেন অনেক পরে।

মনের ওপর অতিরিক্ত চাপ দেবেন না
ঘুমোতে যাওয়ার আগে পরদিন সকালে তাড়াতাড়ি উঠতে হবে বলে মনের ওপর অতিরিক্ত চাপ দেবেন না। বারবার যদি ভাবেন কাল সকালে তাড়াতাড়ি উঠতে হবে, কাল সকালে তাড়াতাড়ি উঠতে হবে তাহলে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটবে। ঘুমোতে দেরি হবে, আর পরদিন তাড়াতাড়ি ওঠার আপনার সব প্ল্যান ভেস্তে যাবে।

ঘরে সূর্যের আলো ব্যবস্থা রাখুন
সকালে যেন ঠিকমত সূর্যের আলো বা রোদ এসে পড়ে। ঘর যত অন্ধকার রাখবেন, ঘুম থেকে উঠতে তত দেরি হবে।  

যোগব্যায়াম করুন
বেশ কিছু যোগব্যায়াম আছে যা করলে তাড়াতাড়ি ঘুম ভাঙে।

ঘুম থেকে ওঠার একটা নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করুন
জানি যাদের শিফিটিং ডিউটি। আজ সকাল, কাল দুপুর, পরশু রাত। এমন ধরনের ডিউটি তাদের ক্ষেত্রে কঠিন। তবু চেষ্টা করুনম প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে উঠতে। আজ কাজ আছে বলে তাড়াতাড়ি উঠব, কাল নেই বলে এখটু বেশি ঘুমিয়ে নিই। এই নিয়ম তৈরি না করাই ভাল।  

অ্যালার্ম ক্লক বা ফোনের অ্যার্লাম টোন বা আওয়াজটা তীব্র রাখবেন না
অ্যালার্ম ক্লক বা ফোনের অ্যার্লাম টোন কিন্তু ঘুম থেকে সঠিক সময়ে ওঠার একটা বড় অস্ত্র। ধরুন অ্যালার্ম টোনটা খুব চড়া আর তীব্র। শুনেই আপনার খারাপ লাগছে। এমন অ্যালার্মে আপনার ঘুম ভাঙবে ঠিকই কিন্তু হুঁশ আসবে না।