ঋতু পরিবর্তন হয়ে আগমন ঘটেছে গরমের। এসময় বিভিন্ন অসুখের পাশাপাশি পেটের নানা সমস্যায়ও ভোগেন অনেকে। কারও কারও ক্ষেত্রে দেখা দেয় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। এই সমস্যাকে শুরুতে খুব একটা গুরুত্ব না দিলেও পরবর্তীতে ভুগতে হয় বেশ। কারণ কোষ্ঠকাঠিন্য হলে তার প্রভাব পড়ে পুরো শরীরেই। পেট পরিষ্কার না হওয়ার কারণে বাড়ে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও। সেইসঙ্গে চলে যায় খাবারের রুচি।

কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে পেট ও কোমরে ব্যথা হতে পারে, দেখা দিতে পারে মলদ্বারে যন্ত্রণা। বিশেষজ্ঞ বলছেন, দীর্ঘ সময় ধরে  কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগলে বাড়তে পারে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি। তাই আগেভাগেই সতর্ক হতে হবে। যদি আপনি সপ্তাহে তিনবার বা তার কম মলত্যাগ করেন তবে বুঝে নেবেন আপনি কোষ্ঠকাঠিন্যের শিকার। খাবারের তালিকায় পরিবর্তন আনার মাধ্যমে এটি দূর করা সম্ভব। ভারতের সেলিব্রেটি পুষ্টিবিদ রুজুতা দিবাকর তার সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টে এই নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে তিনি তিনটি খাবারের কথা উল্লেখ করেছেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

​রুটির সঙ্গে তিল

রাতের খাবারের তালিকায় রুটি রাখেন অনেকেই। এর সঙ্গে রাখুন সাদা তিল। এই তিলে থাকে ফাইবার, ভিটামিন ই এবং প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড এমনটাই জানিয়েছেন এই পুষ্টিবিদ। আটার সঙ্গে এক চামচ তিল মিশিয়ে সেই ডো দিয়ে রুটি তৈরি করে খেতে পাবেন। এতে উপকার পাবেন দ্রুতই। মুক্তি পাবেন কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা থেকে

গুড় ও ঘি

মিষ্টি খেতে ভালোবাসেন বেশিরভাগ মানুষই। রুজুতা দিবাকর বলছেন, যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে তারা এই সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য দুপুরের খাবারের পর ঘিয়ের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খাবেন। গুড় হলো আয়রনের ভালো উৎস। আয়রন আমাদের শরীরের নানা উপকারে লাগে। এদিকে ঘি শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ফ্যাটের ঘাটতি মেটায়। তাই এই দুটি খাবার একসঙ্গে খেলে হজমের উন্নতি হয়। সেইসঙ্গে ভালো থাকে অন্ত্রের স্বাস্থ্যও। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূরে থাকে।

​তরমুজ খাবেন যে কারণে

গরমের সময় শরীর থেকে ঘামের আকারে অনেকটা পানি বের হয়ে যায়। সেই পানির ঘাটতি মেটানো জরুরি। কারণ পর্যাপ্ত পানির অভাবে দেখা দিতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য। রুজুতা দিবাকর বলেন, গ্রীষ্মকালীন ফল আমাদের শরীরকে ভেতর থেকে আর্দ্র থাকতে সাহায্য করে। এসময় বাজারে প্রচুর তরমুজের দেখা মেলে। তাই নিয়মিত তরমুজ খেতে পারেন। এতে পানির অভাব তো দূর হবেই, সেইসঙ্গে দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্যও। এছাড়াও পাবেন আরও অনেক উপকারিতা।