আমাদের রান্নাঘরেই এমন অনেক উপাদান থাকে যেগুলোর রয়েছে ঔষধি গুণ। এ ধরনের ‍উপাদানের তালিকা করলে সবার আগেই আসে রসুনের নাম। অনেক অসুখ থেকে দূরে রাখতে কাজ করে রসুন। আপনি কি জানেন যে রসুনের তেলও দারুণ উপকারী? রসুনের আছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিপায়রেটিক, অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য। এ কারণে রসুন অনেক রোগের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক রসুনের তেলের উপকারিতা এবং তৈরির উপায়-

ত্বকের সমস্যা দূর করে

ত্বকে ফাঙ্গাল ইনফেকশনের সমস্যা থাকলে তা সারানোর কাজে ব্যবহার করতে পারেন রসুনের তেল। কারণ রসুনে আছে অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণ। ত্বকে চুলকানি হলে আক্রান্ত স্থানে রসুনের তেল লাগান। এতে দ্রুত আরাম পাবেন। সেইসঙ্গে সমস্যাও সেরে যাবে।

ব্রণ দূর করে

টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশ, রসুনের তেলে আছে জিঙ্ক, কপার, ভিটামিন সি, সেলেনিয়াম, ভিটামিন বি৬, অ্যালিসিন ইত্যাদি। এসব উপাদান ব্রণের সমস্যার সমাধান করে। সেইসঙ্গে প্রদাহও দূর করে। যাদের ব্রণের সমস্যা আছে তারা রসুন তেল ব্যবহার করতে পারেন।

ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই

ব্রেস্ট ক্যান্সার থেকে রক্ষা পেতে চাইলে রসুনের তেলের ব্যবহার করুন। গবেষণায় দেখা গেছে, রসুনে ডায়ালিল ডিসসালফাইড নামক একটি উপাদান রয়েছে যা ব্রেস্ট ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি আটকায়। তাই ব্রেস্ট ক্যান্সার থেকে বাঁচতে নিয়মিত রসুনের তেল খান।

সর্দি-কাশি দূর করে

সর্দি-কাশির মতো সমস্যা কমাতে কাজ করে রসুনের তেল। রসুনে আছে অ্যালিসিন নামক একটি উপাদান। এই উপাদান রসুনের অ্যাকটিভ উপাদান। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। এক্ষেত্রে গোসলের সময় পানিতে কয়েক ফোঁটা রসুনের তেল 
মিশিয়ে দিন। এরপর সেই পানি দিয়ে গোসল করুন। এতে সমস্যা দ্রুতই কমবে।

কোলেস্টেরল দ্রুত কমায়

কোলেস্টেরলের সমস্যা এখন গুরুতর হচ্ছে। এই সমস্যার সমাধান করতে পারে রসুনের তেল। এই তেলে আছে এমন এক যৌগ যা ব্লাডপ্রেশার, কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডস কমায়। তাই হার্টের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে চাইলে খাবারে রসুনের তেল মেশাতে পারেন।

রসুনের তেল যেভাবে তৈরি করবেন

কয়েক কোয়া রসুন নিন। এবার সেই রসুন ভালো করে বেটে নিতে হবে। বাটা রসুন একটি পাত্রে রাখুন। এবার গরম করুন ৫ থেকে ৮ মিনিট। গরম হয়ে গেলে এই মিশ্রণকে একটি মুখবন্ধ বয়ামে রাখুন। ব্যস তৈরি হয়ে গেলো রসুনের তেল। এই তেল চাইলে রান্নায়ও ব্যবহার করতে পারেন। দিনে ৪ মিলি-এর বেশি রসুনের তেল না খাওয়াই ভালো।