একটানা খুশখুশে কাশির সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। এই সমস্যা বেড়ে যায় ঋতু পরিবর্তনের সময় এলেই। শীত বিদায় নিয়েছে, বসন্তও এসেছে প্রকৃতিতে। কিন্তু প্রকৃতির ধূসরতা কমেনি এখনও। ধুলোবালি আর দূষণের ফলে কাশির মাত্রাটাও বেড়ে চলেছে। বছরের এই সময়ে জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যা বাড়তে দেখা যায়। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তারা এক্ষেত্রে বেশি ভুগে থাকেন।

খুশখুশে এই কাশির সমস্যা সহজে সারতে চায় না। অনেক সময় ওষুধ খেয়েও সমস্যার সমাধান মেলে না। তাই ওষুধের পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া উপায় জেনে রাখা ভালো। এতে অস্বস্তিকর এই কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ হবে। ভারতীয় সেলিব্রেটি পুষ্টিবিদ রুজুতা দিবাকর এই বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

সকাল ও রাতে যে খাবার খাবেন

ঘি, শুকনো আদার গুঁড়া, হলুদ ও গুড় নিন। এবার সব উপকরণগুলো একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। ছোট্ট ছোট্ট বলের মতো তৈরি করে নিন। ঘুম থেকে উঠে একবার খান, আর একবার রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একবার খান। এভাবে প্রতিদিন খেলে খুশখুশে কাশি থেকে মুক্তি পেতে সময় লাগবে না।

দুপুরের খাবারের আগে

দুপুরের খাবারের আগে অল্প-স্বল্প ক্ষুধা লাগতেই পারে। তখন কয়েকটি কাজু বাদামের সঙ্গে অল্প গুড় মিশিয়ে খেয়ে নেবেন। এতে আপনার ক্ষুধা তো দূর হবেই, সেইসঙ্গে কাশির সমস্যাও অনেকটা কমে আসবে। তবে গুড় যেন খাঁটি হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। নয়তো উপকার মিলবে না।

দুপুরের খাবার

দুপুরের খাবারে আপনি কী খান? নিশ্চয়ই ভাত, ডাল, সবজি, মাছ কিংবা মাংস থাকে? খুশখুশে কাশি চলতে থাকলে দুপুরের খাবারেও একটি যোগ-বিয়োগ করতে হবে। প্রতিদিনের দুপুরের খাবারে ভাতের সঙ্গে মুগ ডাল ও ঘি রাখবেন। এভাবে কয়েকদিন খেলে নিজেই উপকারটা বুঝতে পারবেন।

সন্ধ্যার নাস্তায় যা রাখবেন

সন্ধ্যার আগে আগে নিশ্চয়ই আরেকবার ক্ষুধা পেয়ে যায়? এই সময়ে অল্প খাবার খেয়ে নিলেই পেট ঠান্ডা থাকে। এসময় আপনি খাবেন বাড়িতে তৈরি দই। তার সঙ্গে রাখতে পারেন আখের গুড়, সেদ্ধ ডিম অথবা দুধ। এতে শরীরে পুষ্টি তো পৌঁছাবেই, কাশির সমস্যাও কমে আসবে অনেকটা। 

রাতের খাবারে যা রাখবেন

রাতের খাবারে রাখতে পারেন ভাত কিংবা খিচুড়ি। অবশ্যই বাড়িতে রান্না করা খাবার খাবেন। তার সঙ্গে রাখুন মাংস বা মাছ। তবে খুব বেশি খাবেন না। পরিমিত খান। 

স্পেশাল ড্রিংক হিসেবে 

গরম পড়তে শুরু করেছে। এসময় কিছু পানীয় আপনাকে আরাম দিতে পারে। আদা, লেবু, লেমন গ্রাস এবং মধু মিশিয়ে চা কিংবা পানীয় তৈরি করে খেতে পারেন। আদা বা আমন্ড দিনের যেকোনো সময় খেতে পারেন। এতে উপকার পাবেন দ্রুতই।