রসগোল্লার নাম শুনলে জিভে জল চলে আসে বেশিরভাগ মিষ্টিপ্রেমীরই। কারণ সব মিষ্টির মধ্যে রসগোল্লার স্বাদ আলাদা। তুলতুলে নরম রসগোল্লা, মুখে দিলেই মিলিয়ে যায়। আবেশে যেন চোখ বন্ধ হয়ে আসে! উৎসব- আয়োজনে, কারও বাড়িতে অতিথি হয়ে গেলে কিংবা যেকোনো সুখবরে রসগোল্লা দিয়ে উদযাপন করার অভ্যাস বাঙালির দীর্ঘদিনের। এই রসগোল্লা কেবল সুস্বাদুই নয়, আছে স্বাস্থ্য উপকারিতাও। চলুন জেনে নেওয়া যাক- 

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে

যারা ওজন কমাতে চাইছেন তারা খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন রসগোল্লা। শুনে অবাক হচ্ছেন? আসলে রসগোল্লা হাই প্রোটিন ডায়েট। এতে থাকে প্রচুর ডায়েটারি ফাইবার, যা হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এর ফলে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে খেয়াল রাখবেন যেন খুব বেশি খাওয়া না হয়। কারণ যেকোনো খাবারই অতিরিক্ত খেলে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে।

হাড় ভালো রাখে

রসগোল্লা তৈরির প্রধান উপাদান হলো ছানা। দুধ থেকে তৈরি ছানায় থাকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড। এ ধরনের উপাদান গাঁট ও বাতের ব্যথা কমাতে দারুণ কার্যকরী। ছানায় থাকে ভিটামিন-কে এবং ম্যাগনেসিয়াম। হাড় শক্ত ও সুস্থ রাখতে এই দুই উপাদান অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই রসগোল্লা খেলে তা হাড় ভালো রাখতে সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

গরম রসগোল্লার স্বাদই আলাদা। এটি কিন্তু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও দারুণ কার্যকরী। যাদের আমাশয়ের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত গরম রসগোল্লা খেতে পারেন। এতে দ্রুতই রোগ সেরে যাবে। তবে খুব বেশি খাবেন না। ১-২টি রসগোল্লা খাবেন। এর বেশি খেলে তা শরীরের জন্য ভালো নাও হতে পারে।

প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া দূর করে

অনেকেরই এই সমস্যা থাকে। প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়ার সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ তো নেবেনই সেইসঙ্গে খেতে পারেন রসগোল্লা। কারণ রসগোল্লা খেলে তা ইউরিনারি সিস্টেমের কর্মক্ষমতা উন্নত করে। ফলে সমস্যা কমে আসে অনেকটাই।

কিডনিতে পাথর প্রতিরোধ করে

কিডনিতে পাথর হওয়ার মতো সমস্যা প্রতিরোধে কাজ করে রসগোল্লা। নিয়মিত রসগোল্লা খেলে এই উপকার পাবেন। তবে আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে বা এতে আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকে সেক্ষেত্রে রসগোল্লা খাওয়ার আগে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।