দুপুরে ঘুমিয়ে ওজন কমানোর ৩ উপায়
নানা ব্যায়াম করেও অনেকে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন না। ওজন বেড়ে চললে সেইসঙ্গে বাড়ে দুশ্চিন্তাও। এদিকে দুপুরে খানিক ঘুমিয়ে নেওয়াকে অনেকে বদ অভ্যাস মনে করেন। ওজন বৃদ্ধির পেছনেও এর অবদান থাকতে পারে বলে মনে করা হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভিন্ন কথা। নিয়ম করে দুপুরে ঘুমালেই নাকি কমবে ওজন। সত্যি কি তাই?
ভারতীয় সেলব্রেটি নিউট্রিশনিস্ট রুজুতা দিবাকর এই নিয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, ওজন কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হলো দুপুরের ছোট্ট ঘুম। অন্য যেকোনো শারীরিক কসরতের তুলনায় এটি অনেক বেশি কার্যকরী। শুনে অবাক হচ্ছেন না? দুপুরে ঘুমিয়ে কেউ ওজন কমাতে পারে নাকি? তবে অবিশ্বাস্য হলেও এটি সম্ভব। ওজন কমানোর জন্য ঘুম খুবই প্রয়োজনীয়। বিভিন্ন গবেষণায়ও মিলেছে এর প্রমাণ। নিয়ম মেনে প্রতিদিন দুপুরে কিছুটা সময় ঘুমালে ওজন কমে স্বাস্থ্যকরভাবেই।
বিজ্ঞাপন
পুষ্টিবিদ রুজুতা দিবাকর বলেন, ৩টি সহজ কৌশল আছে যা ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। এই ৩ কৌশল অবলম্বন করলে ফিট হয়ে যাবেন সহজে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কী সেই কৌশল-
দুপুরের ঘুম নিশ্চিন্তে হোক
একবার ভেবে দেখুন, আপনি সব কাজ ফেলে দুপুরে ঘুমাচ্ছেন নিশ্চিন্ত মনে। শুনে অবাক লাগছে না? এদিকে পুষ্টিবিদ রুজুতা দিবাকর ওজন কমানোর জন্য দুপুরে ঘুমানোর পরামর্শ দেন। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করবে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। তবে নিশ্চিন্ত ঘুম মানে কিন্তু কয়েক ঘণ্টা নয়। সময়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। মিনিট বিশেক সময় নিয়ে একটুখানি ঘুমিয়ে নিন, এতেই চলবে। এর বেশি ঘুমাতে যাবেন না। তাতে সমস্যা বরং বেড়ে যেতে পারে।
পরিবর্তন আনুন ওয়ার্ক আউটে
ওয়ার্ক আউটে সময় সূচিতে পরিবর্তন আনতে পারলে ভালো হয়। আপনি যদি প্রতিদিন অত্যাধিক মাত্রায় ব্যায়াম বা ওয়ার্ক আউট করেন তাহলে উপকার তো মিলবেই না, বরং ক্ষতি বেশি হবে। ফ্যাট কমার পরিবর্তে বেড়ে যেতে পারে। তাই এই পুষ্টিবিদ বলছেন, দিনে অন্তত সহজ ওয়ার্কআউট করুন। যেখানে থাকতে পারে স্ট্রেচিং, সাঁতারের মতো কাজগুলো। সেইসঙ্গে যোগ করতে পারেন ইয়োগা। এতে ওজন কমানোর পথ অনেকটা সুগম হবে।
ডায়েটে যেসব খাবার রাখবেন
ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে বেশি নজর রাখতে হবে খাবারের দিকে। পুষ্টিবিদ রুজুতা দিবাকর বলছেন, ডায়েটে অবশ্যই চিনা বাদাম, তিল, শুকনো নারিকেল রাখবেন। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ফ্যাট গ্রহণ করলে তা একগুঁয়ে মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে জীবনযাপনেও আনতে হবে কিছু পরিবর্তন। স্ট্রেস, অনিদ্রা, অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকতে হবে। ফলে আপনি ফ্যাট ঝরিয়ে ফিট হবেন দ্রুতই।