ডিমের কুসুম খাওয়ার উপকারিতা
পুষ্টিকর খাবারের তালিকায় অন্যতম হলো ডিম। কম খরচে প্রোটিনের উৎস হিসেবে ডিমের নামও আসবে সবার আগে। প্রায় প্রতিদিনই ডিম খাওয়া হয় সব বাড়িতেই। এদিকে স্বাস্থ্য সচেতনতার অংশ হিসেবে অনেকে ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে খান। সাদা অংশ খেয়ে রেখে দেন কুসুমের অংশটুকু। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা এতে সায় দিচ্ছেন না। তারা বলছেন, সুস্থ ব্যক্তির ক্ষেত্রে ডিমের কুসুম খেতে কোনো বাধা নেই। কুসুমে আছে খনিজ ও ভিটামিন। এটি শরীরের জন্য নানাভাবে উপকারী। জেনে নিন ডিমের কুসুম খাওয়ার কিছু উপকারিতা-
পেটের সমস্যায়
বিজ্ঞাপন
যারা পেটের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য উপকারী একটি খাবার হতে পারে ডিমের কুসুম। মেডিক্যাল নিউজ টুডে অনুসারে, ডিমের কুসুমে আছে ফসিভিটন নামক প্রোটিন। এই প্রোটিন শরীরে প্রদাহ সৃষ্টিকারী পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। যে কারণে পেটের সমস্যা দূর হয়। তাই চিকিৎসকের নিষেধ না থাকলে নিয়মিত ডিমের কুসুম খেতে পারেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
আমাদের সুস্থ থাকার জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত হলে অনেক অসুখ থেকে দূরে থাকা সম্ভব হয়। তাই এক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে। ডিমের কুসুম ভূমিকা রাখে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে। এতে আছে সালফেটেড গ্লাইকোপেপটাইডস। এই উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকরী।
উচ্চ রক্তচাপ কমায়
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে তা ডেকে আনে আরও অনেক রোগ। সুস্থ থাকার জন্য রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। হাইপারটেনশনে আক্রান্ত রোগীর জন্য ডিমের কুসুম বেশ কার্যকরী খাবার। এতে থাকা পেপটাইডস নামক উপাদানটি হাই রক্তচাপ কমাতে কাজ করে। সেইসঙ্গে আরও অনেক কার্ডিওভাস্কুলার রোগ প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখে।
চোখের সমস্যায়
যারা চোখের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্যও উপকারী হতে পারে ডিমের কুসুম। এতে আছে লিউটিন ও জিয়াজ্যানথিন। এই দুই উপাদান চোখ ভালো রাখতে দারুণ কার্যকরী। এছাড়া ডিমের কুসুমে থাকে ক্যারোটিনয়েডস। এই উপাদান ছানি ও মাসকুলার ডিজেনারেশন দূর করতে কাজ করে। তাই চোখের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে চাইলে কুসুমসহ ডিম খাওয়ার অভ্যাস করুন।
যেভাবে খেলে বেশি উপকার
ডিম সেদ্ধ করে খাবেন। অনেকে বেশি পুষ্টির আশায় আধা সেদ্ধ করে খান। এভাবে খেলে আপনার পেটে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া দিনে একটির বেশি ডিম না খাওয়াই ভালো। আপনার যদি ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, হার্ট সংক্রান্ত কোনো সমস্যা থাকে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডিমের কুসুম খাবেন। চিকিৎসকের নিষেধ থাকলে বাদ দেবেন।