জিবে ঘা হলে তার কষ্ট কেবল ভুক্তভোগীই জানেন। তখন খেতে গেলেও হয় কষ্ট। এই সমস্যা দেখা দিলে আক্রান্ত স্থান লাল হয়ে যায়, কিছুটা উঁচুও হয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে ব্যথা, পুড়ে যাওয়ার মতো অনুভূতি হতে পারে। এই সমস্যা ১৫ দিনের বেশি থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে সেরে ওঠার জন্য ঘরোয়া উপায় বেছে নিতে পারেন।

জিবে ঘা হওয়ার কারণ

* স্বাদ গ্রন্থি ফুলে ওঠা,

* বার্নিং মাউথ সিনড্রোম,

* ওরাল থ্রাশ ইত্যাদি।

মুখের যত্ন নিন

হেলথলাইন বলছে, জিবে ঘা থেকে বাঁচতে হলে আপনাকে মুখের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখতে হবে। কেবল সকালেই নয়, সকালে ও রাতে মোট দুইবার দাঁত ব্রাশ করতে হবে। পাশাপাশি নিয়মিত মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করলে উপকার পাবেন। এতে ব্যাকটেরিয়াসহ অন্যান্য জীবাণুর আক্রমণ থেকে দূরে থাকা সহজ হয়। ফলে মুখগহ্বর থাকে পরিষ্কার।

অ্যালোভেরার ব্যবহার

অ্যালোভেরাকে বলা হয় প্রাকৃতিক মহাষৌধি। মুখের ভেতরের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিয়মিত এটি কাজে লাগাতে পারেন। কারণ অ্যালোভেরারর আছে ক্ষত সারিয়ে তোলার মতো ক্ষমতা। আপনার জিবে ক্ষত তৈরি হলে দিনে কয়েকবার খেতে পারেন অ্যালোভেরা জুস। এতে সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে।

বেকিং সোডার ব্যবহার

বেকিং সোডা কেবল খাবার তৈরিতেই ব্যবহার করা হয় না, এর রয়েছে আর অনেক ধরনের ব্যবহার। তার মধ্যে একটি হলো মুখের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার কাজ। এই কাজে আপনি ব্যবহার করতে পারেন বেকিং সোডা। সেজন্য আপনাকে প্রথমে পানি ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর প্রতি আধা কাপ পানে মেশাবেন ১ চা চামচ বেকিং সোডা। সেই পানি হালকা গরম অবস্থায় এলে তা দিয়ে কুলকচি করুন। এর পাশাপাশি বেকিং সোডার পেস্ট তৈরি করেও ব্যবহার করতে পারেন।

লবণ-পানির ব্যবহার

জিবের ঘা সারাতে দুর্দান্ত একটি উপায় হতে পারে লবণ-পানির ব্যবহার। পানি গরম করে তার ভেতরে এক চিমটি লবণ দিয়ে দিন। সেই পানি হালকা গরম অবস্থায় এলে তা দিয়ে কুলকুচি করুন। লবণের রয়েছে জীবাণু দূর করার ক্ষমতা। তাই এর ব্যবহারে মুখের ভেতরের জীবাণু দূর হবে সহজেই।

জিবের ঘা সারাতে মধু

মধুর অনেক উপকারিতার মধ্যে একটি হলো এর প্রাকৃতিক ব্যাকটেরিয়ানাশক ক্ষমতা রয়েছে। সেইসঙ্গে ক্ষত কমাতেও কাজে লাগে উপকারী এই উপাদান। কিছুটা মধু হাতে নিয়ে ক্ষতস্থানে লাগিয়ে নিন। তবে তা যেন খাঁটি মধু হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

এই সময় অবলম্বনে