চুলের আগা ফাটা প্রতিরোধের ৩ উপায়
শীত পড়তে না পড়তেই চুলেও তার প্রভাব পড়তে শুরু করে। খুশকির সমস্যা তো থাকেই, সেইসঙ্গে চুল হয়ে যায় রুক্ষ ও প্রাণহীন। এসময় বাতাসে আর্দ্রতা কমতে শুরু করে। যে কারণে তার প্রভাব পড়ে আমাদের ত্বক ও চুলে। এক সময় শুরু হয় চুলের আগা ফেটে যাওয়ার সমস্যা। এতে চুল হয়ে পড়ে ভঙ্গুর। শীতের সময়ে চুলের আগা ফাটা প্রতিরোধে বেছে নিতে পারেন ঘরোয়া উপায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক ৩টি সমাধান-
নারিকেল তেল ব্যবহার
নারিকেল তেলকে বলা হয় প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। এটি চুলের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে। এই তেলে থাকে মিডিয়াম চেন ফ্যাটি অ্যাসিড। এই উপাদান কাজ করে চুল ভালো রাখতে। চুলকে ময়েশ্চারাইজও করে নারিকেল তেল। সেইসঙ্গে জোগায় প্রয়োজনীয় পুষ্টিও। যে কারণে চুলের আগা ফাটা সমস্যা সারিয়ে তোলা সহজ হয়। নারিকেল তেল ব্যবহারের আগে অল্প গরম করে নিন। এরপর তা মাথার ত্বক ও চুলে ভালো করে লাগিয়ে নিন। এভাবে অপেক্ষা করুন ঘণ্টা দুয়েক। এরপর শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে ২-৩ দিন চুলে এভাবে নারিকেল তেল ব্যবহার করলেই উপকার পাবেন।
বিজ্ঞাপন
আমন্ড অয়েল ব্যবহার
চুলের জন্য নারিকেল তেলের মতো আরেকটি উপকারী তেল হলো আমন্ড অয়েল। এটিও চুলকে ময়েশ্চারাইজ করতে কাজ করে। ‘বিএমসি কমপ্লিমেন্টারি মেডিসিন অ্যান্ড থেরাপিস’ জার্নালের এক গবেষণায় এমনটাই বলা হয়েছিল। চুলে পর্যাপ্ত আর্দ্রতা বজায় থাকলে আগা ফাটার সমস্যা থাকে না। পরিমাণমতো আমন্ড তেল নিয়ে মাথার তালু ও চুলে ভালো করে মেখে নিতে হবে। এভাবে দুই ঘণ্টার মতো রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু করে নেবেন। সপ্তাহে ৩ দিন এটি ব্যবহার করতে পারবেন।
টক দইয়ের ব্যবহার
চুলের যত্নে অন্যতম উপকারী উপাদান হলো টক দই। এটি ব্যবহারে চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখা সহজ হয়। যে কারণে চুলে পুষ্টি পৌঁছায় সহজেই। একটি পাত্রে ৪ চামচ টক দই, ১ চামচ অলিভ অয়েল ও ১ চামচ মধু মিশিয়ে নিন। ঘন একটি মিশ্রণ তৈরি হবে। এবার সেই মিশ্রণ মাথার ত্বক ও চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। এভাবে রেখে দিন ১ ঘণ্টার মতো। এরপর শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে ১ বার এভাবে ব্যবহার করলেই উপকার পাবেন।
এই সময় অবলম্বনে/ এইচএন