বুদ্ধিমত্তা বাড়াতে যে কাজগুলো করবেন
চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে নিজেকে দক্ষ ও বুদ্ধিমান প্রমাণ করা কিন্তু সহজ নয়। এদিকে চাকরিদাতারা সব সময় বুদ্ধিমান ও চটপটে প্রার্থীই খোঁজ করেন। বুদ্ধিমত্তা বাড়ানোর জন্য আপনাকে মস্তিষ্কের ব্যায়াম করতে হবে এবং সেইসঙ্গে করতে হবে কিছু কাজ। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক এমনকিছু সাধারণ কাজ সম্পর্কে, যেগুলো আপনার বুদ্ধিমত্তার উন্নতি করতে সাহায্য করবে-
চারপাশে মনোযোগ দিন
বিজ্ঞাপন
চারপাশের পরিবেশ এবং পরিস্থিতির দিকে গভীর মনোযোগ থাকলে তা আপনাকে অনেককিছু শিখতে সাহায্য করবে। যেমন অনুভূতি, আবেগ, যুক্তি ইত্যাদি সহজে বুঝতে পারবেন। কোনো মানুষ বা অন্যকিছুর দিকে গভীর মনোযোগ দিয়ে দেখলে আপনি নতুন কিছু শিখতে পারবেন। সেইসঙ্গে পাবেন নতুন কোনো দৃষ্টিভঙ্গিও।
পাজল মেলানো
মস্তিষ্কের ব্যায়াম হিসেবে পাজল মেলানো খুবই ভালো অভ্যাস। সুডোকু কিংবা শব্দ মেলানো মনকে উদ্দীপিত করে এবং দ্রুত সমাধানের জন্য উৎসাহিত করে। প্রতিদিন যদি পাজল মেলানোর অভ্যাস করেন তবে জীবনের নানা সমস্যার সমাধান করাও অনেক সহজ হয়ে যাবে।
মেডিকেশন
মেডিকেশন বা ধ্যান আমাদের মনকে অনেকটাই উদ্দীপিত করে তোলে। এটি মন থেকে সমস্ত নেতিবাচক ও দূষিত চিন্তা দূর করে এবং সব সময় ইতিবাচক মানসিকতা ধরে রাখে। সেইসঙ্গে এটি উদ্বেগ ও হতাশাও দূর করে। প্রতিদিন অন্তত ৫ মিনিট মেডিকেশন করলে তা আপনার বুদ্ধিমত্তা অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে।
সংবাদপত্র পড়ুন
প্রতিদিন সংবাদপত্র বা অনলাইন পত্রিকা পড়ার মাধ্যমে খুব সহজেই দেশ ও চলমান বিশ্ব সম্পর্কে সম-সাময়িক ধারণা পেতে পারবেন। চারপাশে কী ঘটছে সে সম্পর্কে ধারণা রাখা অবশ্যই একটি দক্ষতা। কে এ সম্পর্কিত কিছু জানতে চাইলেও আপনি সহজে উত্তর দিতে পারবেন। এতে আপনার জ্ঞান সমৃদ্ধ হবে এবং বিশ্বের কোথাও কী ঘটছে সে সম্পর্কেও সচেতন থাকতে পারবেন।
বই পড়ুন
গল্পের বই কিংবা উপন্যাস পড়ার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার কল্পনাশক্তি বাড়িয়ে নিতে পারেন। একটি উপন্যাস যখন লেখা হয়, তার পেছনে লেখকের অপরিসীম সৃজনশীলতা থাকে। তাই বই পড়ার মাধ্যমে আপনার জ্ঞান তো সমৃদ্ধ হবেই সেইসঙ্গে কল্পনাশক্তি ও সৃজনশীলতাও বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে আপনি অন্যদের ভাবনা ও আবেগ সম্পর্কে খুব সহজেই বুঝতে পারবেন।
কৌতুহলী হোন
পৃথিবীর কোথায় কী ঘটছে তা জানার জন্য যত বেশি কৌতুহলী হবেন, তত বেশি শিখতে ও জানতে পারবেন। তাই প্রশ্ন করতে শিখুন এবং পাজল মেলানোর অভ্যাস করুন। কারণ দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এগুলো খুবই কার্যকরী উপায়। আশেপাশের মানুষ, সহকর্মী, শিক্ষক, বস, অভিভাবক, আপনজন সবার সঙ্গে কথা বলুন। প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলেই আপনি কোনো না কোনো জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন।