দাঁত ভালো রাখতে যে ৬ খাবার খাবেন
দাঁত ভালো রাখার প্রসঙ্গ এলে খাবারের প্রসঙ্গ আসবেই। মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন ক্যান্ডি, কোমল পানীয় ইত্যাদি দাঁতের ক্ষয়ের অন্যতম কারণ। মুখের ভেতরকার স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। পুষ্টিকর খাবার খেলে তা আমাদের দাঁত ও মাড়ি ভালো রাখতে কাজ করে। পুষ্টিহীনতার কারণে দেখা দিতে পারে দাঁতের ক্ষয়, ক্যাভিটি ও মাড়ির সমস্যা। চিকিৎসকেরা বলছেন, দাঁত ও মাড়ির সমস্যার সঙ্গে ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, স্ট্রোক, প্রিম্যাচিওর বা কম ওজনের শিশুর জন্ম দেওয়ার মতো সমস্যার সম্পর্ক রয়েছে। দাঁত ও মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এই ৬ খাবার নিয়মিত খেতে পারেন-
চিজ
বিজ্ঞাপন
চিজ খেতে পছন্দ করেন? খেতে সুস্বাদু তো বটেই সেইসঙ্গে এটি পছন্দ করার আরেকটি কারণ দেখাতে পারেন। সেটি হলো, এটি দাঁতের জন্য ভালো। এক গবেষণায় দেখা গেছে, চিজ খেলে তা মুখের ভেতরের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং দাঁতের ক্ষয় কমাতে সাহায্য করে। চিজ চিবিয়ে খাওয়ার সময় এটি মুখের লালা বৃদ্ধি করে। এতে আরও থাকে ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন। এই দুই পুষ্টি উপাদান দাঁত ভালো রাখতে কাজ করে।
সবুজ শাক
যেকোনো স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায়ই সবুজ শাক থাকে। এতে থাকে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। সেইসঙ্গে ক্যালোরি থাকে সামান্যই। সবুজ শাক খেলে তা দাঁত ভালো রাখতে কাজ করে। এতে থাকে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম যা দাঁতের এনামেল তৈরিতে সাহায্য করে।
আপেল
চিকিৎসকেরা মিষ্টি জাতীয় সব ধরনের খাবার থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিলেও কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে। যেমন আপেল খেতে মিষ্টি হলেও এতে আছে প্রচুর পানি ও ফাইবার। আপেল খেলে তা মুখের ভেতরে লালা সৃষ্টি করে যা ব্যাকটেরিয়া এবং জমে থাকা খাদ্যকণা দূর করে। এই ফলে থাকা ফাইবার মাড়ির স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও কাজ করে। আপেল খেলে তা আপনাকে দাঁত ব্রাশ করার মতো সুবিধা দিতে পারে না ঠিকই তবে এটি মুখের ভেতরটা সতেজ রাখতে পারে, যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি দাঁত ব্রাশ করার সুযোগ পাচ্ছেন।
দই
চিজের মতো দইয়েও আছে ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন যা দাঁত ভালো রাখার ক্ষেত্রে অন্যতম কার্যকরী খাবার। দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক বা উপকারী ব্যাকটেরিয়া দাঁত ও মাড়ির জন্য উপকারী। কারণ উপকারী ব্যাকটেরিয়া দাঁতে ক্যাভিটি তৈরির জন্য দায়ী ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর করে। সঠিক উপকারিতা পেতে চাইলে চিনি ছাড়া দই খাওয়ার অভ্যাস করুন।
গাজর
আপেলের মতো গাজরও ফাইবার সমৃদ্ধ। প্রতিবার খাবার খাওয়ার পর কয়েক টুকরা কাঁচা গাজর খেলে তা মুখের ভেতরের লালা বৃদ্ধি করে, যা ক্যাভিটির ঝুঁকি কমায়। ফাইবারের পাশাপাশি এটি ভিটামিন এ- এরও একটি সমৃদ্ধ উৎস। সালাদে গাজর রাখতে পারেন কিংবা কয়েকটি ছোট গাজর চিবিয়ে খেয়ে নিতে পারেন।
আমন্ড
ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে এবং সুগারের পরিমাণ কম থাকার কারণে আমন্ড নামক বাদাম দাঁতের জন্য বেশ ভালো কাজ করে। দুপুরের খাবারের তালিকায় একমুঠো আমন্ড রাখতে পারেন। সেইসঙ্গে এটি সালাদেও যোগ করতে পারেন।
এনডিটিভি অবলম্বনে