বাড়ি থেকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে? সামলাবেন যেভাবে
নিজের জীবন নিয়ে পরিকল্পনা থাকে সবার। তাইতো সবার জীবন একই নিয়মে চলে না। যে যার মতো করে লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে চায়। কেউ চায় আগেভাগেই বিয়ে করে নিতে। কেউ আবার চায় আরেকটু সময় নিতে। একটা সময় এই সময় নেওয়া নিয়ে পরিবারের সঙ্গে খিটিমিটি বেঁধে যেতে পারে। বিশেষ করে মা-বা, ভাই-বোন এবং আপনজনদের কাছ থেকে চাপটা বেশিই আসে।
বিয়ের সিদ্ধান্ত যে একান্ত নিজের ব্যক্তিগত তা পরিবারের বেশিরভাগ মানুষই বুঝতে চায় না। তারা চায় আপনাকে সুখি ও নিশ্চিন্ত দেখতে। তাদের মনে হতে পারে বিয়ের মাধ্যমে আপনার জীবনে আরও অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। সে কারণেই তারা আপনাকে ক্রমাগত চাপ দিতে পারে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। এই চাপ থেকে মুক্ত থাকার জন্য আপনি কী করতে পারেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
বিজ্ঞাপন
ভালোভাবে বোঝান
বুঝিয়ে বললে নিশ্চয়ই তারা বুঝতে পারবেন। তারা তো আপনার আপনজন। আপনি কী চান তা যদি ধৈর্য নিয়ে বোঝান তবে আর আপনাকে বিয়ের জন্য চাপ দেবেন না। তাই আপনি কেন আরও পরে বিয়ে করতে চান তা তাদের বুঝিয়ে বলুন। আপনি যে জীবনটা আরেকটু গুছিয়ে নিতে চান, আপনার যে আরও কিছু লক্ষ্য-উদ্দেশ্য আছে তা তাদের বুঝিয়ে বলুন।
যুক্তি দিন
অযথা অনর্গল কথা না বলে যুক্তিযুক্ত কথা বলুন। যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার স্বপক্ষে গ্রহণযোগ্য যুক্তি থাকতে হবে। আপনি যদি সঠিক যুক্তি দিয়ে বোঝাতে পারেন তবে তা মেনে না নেওয়ার আর কোনো সুযোগ থাকবে না। কিছু বিষয় নিজের মতো করে ভেবে রাখুন। এরপর সেগুলো তাদের সামনে তুলে ধরুন।
অতিরিক্ত কথা বলবেন না
অনেকেই নিজের পক্ষে যুুক্তি দেখাতে গিয়ে অতিরিক্ত কথা খরচ করে ফেলেন। এমনটা করা যাবে না। কারণ বেশি কথা বলে ফেললে কথার গুরুত্ব কমতে থাকবে। আপনিও নিজের পক্ষে যুক্তি জোগাড় করতে পারবেন না। যখন বেশি কথা বলবেন তখন তাদেরও নিজেদের কথা শোনানোর জন্য অনেক সুযোগ তৈরি হবে।
চাপ নেবেন না
চাপ থাকবেই। কিন্তু চাপ নেবেন না। চাপের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিন। কিন্তু চাপ মেনে নেবেন না। যদি পরিবার থেকে ক্রমাগত চাপ দিতে থাকে, আপনি সেই অবস্থায়ই একটি স্বচ্ছন্দ পরিবেশ তৈরি করে নিন। তাদের কথা হালকাভাবে নিন। অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নেই। নিজেকে চাপমুক্ত রাখবেন।
ঝামেলা তৈরি করবেন না
অনেক সময় পরিস্থিতির সামাল দিতে না পেরে আমরা ঝগড়া বাঁধিয়ে ফেলি। এটি করতে যাবেন না। তাতে জটিলতা আরও বাড়বে। এতে ভুলবোঝাবুঝির সৃষ্টিও হতে পারে। মনে রাখবেন, ঝগড়া কোনো সমাধান আনে না, এটি আরও অনেক সমস্যার সৃষ্টি করে। তাই অহেতুক ঝগড়া করবেন না।