স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় উপরের দিকে থাকে ফল। উপকারী ফলের তালিকায় আবার উপরের দিকে থাকে খেজুর। আমাদের দেশে রোজার সময় খেজুর বেশি খাওয়া হয়। মূলত সারাদিন শক্তি জোগাতেই এটি খাওয়া হয়। কিন্তু শুধু রোজায় নয়, সারা বছরই এই ফল খাওয়া যেতে পারে। কারণ খেজুর খাওয়ার রয়েছে অনেক উপকারিতা। খেজুরে থাকে প্রাকৃতিক মিষ্টি যা চিনির স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

খেজুরের পুষ্টি

খেজুরে থাকে কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন বি, ভিটামিন কে, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, জিঙ্ক এবং ম্যাঙ্গানিজ সহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান। এই ফলের রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য। খেজুর খেলে পাওয়া যায় অনেক উপকার। এটি আপনার শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতেও কাজ করবে।

খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

* কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে

* হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করে

* কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে

* হাড় ভালো রাখে

* রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে

* ক্লান্তি দূর করে

* রক্তস্বল্পতা দূর করে

* প্রদাহ প্রতিরোধ করে।

খেজুর খাওয়ার সেরা সময় কখন

* সকালে খালি পেটে খান।

* দুপুরে খাওয়ার আগে।

* যখনই মিষ্টি খেতে ইচ্ছা হবে।

* ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঘি দিয়ে (ওজন বাড়াতে চাইলে)।

​প্রতিদিন কতগুলো খেজুর খেতে পারবেন

কোনো খাবারই অতিরিক্ত খাওয়া ভালো নয়। এতে অনেক উপকারী খাবারও ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। তাই খেজুর খাওয়ার ক্ষেত্রেও পরিমাপ জেনে রাখা উচিত। পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিন দুই-তিনটি খেজুর খেলেই তা যথেষ্ট। তবে যারা ওজন বাড়াতে চান তারা প্রতিদিন চারটি করে খেজুর খেতে পারেন।

ভিজিয়ে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

খেজুর ভিজিয়ে খেলে মিলবে আরও অনেক বেশি উপকার। এই ফল ভিজিয়ে রাখলে তাতে থাকা ট্যানিন বা ফাইটিক অ্যাসিড দূর হয়। ভিজিয়ে রাখলে খেজুর সহজে হজমযোগ্য হয়। খেজুরের আসল স্বাদ ও পুষ্টি পেতে চাইলে সেগুলো আগের রাতেই ভিজিয়ে রাখুন। এরপর সকালে খালি পেটে খান। আট-দশ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে খেজুর খেলে মিলবে অনেক পুষ্টি।