ভালোবেসে সুখি হওয়ার জন্য খুব একটা কষ্ট করতে হয় না। শুধু প্রয়োজন পরস্পরের প্রতি সম্মানবোধ। একে অপরকে শুধু ভালোবাসি বলাটাই যথেষ্ট নয়। শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ে আজীবন পাশে থাকার মাধ্যমে এই সুখ অর্জন করা যায়।

ভালোবাসায় সুখি হতে হলে প্রথম নিজেকে ভালো রাখতে হবে। আর নিজেকে ভালো রাখার জন্য মার্জিত বোধের অধিকারী হতে হবে। ভালোবেসে সুখি হওয়ার জন্য কিছু কাজ করা জরুরি। 

ছাড় দিন

সঙ্গীর সম্পদ, অর্থ, স্মার্টনেস ও রোমান্টিকতাকে আমরা ভালোবাসার মাপকাঠি বানিয়ে ফেলেছি। প্রকৃতপক্ষে সঙ্গীর মধ্যে এসব যদি না থাকে তাহলে হা-হুতাশ করার প্রয়োজন নেই। বরং মেনে নিতে হবে। মানুষ হিসেবে কেউ নিখুঁত নয়। তাই সঙ্গীর আর্থিক বিষয় ও স্মার্টনেস নিয়ে প্রশ্ন না তোলাই ভালো। ভালোবাসার সম্পর্কে গ্রহণ করা ও ছাড় দেয়ার মানসিকতা থাকলে সুখি হওয়া যায়। 

ভালোবাসুন সবসময়

মাঝেমধ্যে সঙ্গীর সঙ্গে কোথাও ঘুরতে যান। অবসর পেলে তার সঙ্গে শহরের নামকরা কোনো রেস্তোরাঁয় ঘুরে আসুন। নিবিড়ভাবে কিছু সময় একসঙ্গে কাটান এবং সম্পর্ককে স্বাস্থ্যকর রাখুন। সপ্তাহে অন্তত একবার মুভি দেখতে যান। ইয়োগা করুন একসঙ্গে। প্রিয় মানুষের পোষা প্রাণি থাকলে তাকেও সময় দিন। এতে ভালোবাসা অনেক গভীর হবে। 

জানুন অপরজনকে

ভালোবাসার মানুষ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন। ভালোবেসে সুখি হওয়ার জন্য এটি বড় ভূমিকা পালন করে। একে অপরের পছন্দ-অপছন্দ সম্পর্কে জেনে নিলে চমকপ্রদ উপহার দেয়া যায়। উপহার দিলে ভালোবাসা বাড়ে। সম্ভব হলে ভালোবাসার মানুষের পরিবারের সঙ্গে কথা বলুন। তাদের সম্পর্কে জানাশোনা বাড়ান। পরিবারের মানুষের সঙ্গে বন্ধন তৈরি হলে ভালোবাসাকে নিরাপদ করা যায়। 

যত্ন নিন

সঙ্গীর প্রতি যত্নশীল হোন। তাকে সম্মান করুন এবং তার অনুভূতি উপলব্ধি করুন। নিজের ইচ্ছাকে তার ওপর চাপিয়ে দেবেন না। যত্ন নিলে ভালোবাসার গুরুত্ব বাড়ে। সঙ্গীর চাওয়া-পাওয়াকে গুরুত্ব দিন। সাধ্যমতো সঙ্গীর চাওয়া পূরণ করুন।

নিয়মিত যোগাযোগ করুন

ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করুন। সম্পর্কে সুখি হওয়ার অন্যতম উপায় এটি। নিয়মিত যোগাযোগের মাধ্যমে সম্পর্কে খুব নিবিড়ভাবে বন্ধন তৈরি হয়। ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে সব কথা ভাগাভাগি করলে সম্পর্কের ভিত্তি মজবুত হয়।

হাফপোস্ট অবলম্বনে

এইচএকে/এইচএন/এএ