প্রেমের সম্পর্ক একদিনে গড়ে ওঠে না। একটি বন্ধন গড়ে উঠতে তো সময় লাগেই! দুজনের নানা প্রচেষ্টা, আন্তরিকতা পারে সম্পর্কটিকে পূর্ণতায় রূপ দিতে। কিন্তু সব সম্পর্ক পূর্ণতা পায় না। কিছু সম্পর্ক ভেঙেও যায়। সম্পর্ক ভাঙতে পারে দুজনের সম্মতিতে, কখনোবা যেকোনো এক পক্ষের সিদ্ধান্তে। সম্পর্ক ভাঙার মতো সিদ্ধান্ত যিনি নেন, তিনি কোনো কারণ ছাড়াই এমনটা করেন না। সম্পর্কের ক্ষেত্রে যদি ছেলেটি ইতি টানার সিদ্ধান্ত নেয় তবে তার জন্য দায়ী হতে পারে প্রেমিকার এই স্বভাবগুলো-

প্রেমিকা সব সময় নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে

ছেলেরা যেসব বিষয় একদমই পছন্দ করে না তার মধ্যে একটি হলো তাকে নিয়ন্ত্রণ করা। দুজনের মধ্যে সম্পর্ক সুন্দর থাকবে, ভালো বোঝাপড়া থাকবে। কিন্তু প্রেমিকা যখন ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করে তখন ছেলেরা বিরক্ত হয়ে যায়। প্রেমিক প্রাপ্তবয়স্ক। তার নিজের ভালো সে নিজেই বুঝতে পারে। আপনি সবকিছুতে তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে যাবেন না। তবে ভালো পরামর্শ দিতে দোষ নেই। কিন্তু নিজের মতামত তার ওপর চাপিয়ে দেবেন না।

তাকে ব্যবহার করা হলে

ছেলেরা যদি বুঝতে পারে যে প্রেমিকা তাকে ব্যবহার করছে তবে সেই সম্পর্কে আর এগোতে পারে না। হতে পারে তার ধারণা পুরোপুরি সঠিক নয়। আবার হতে পারে তার ভাবনাই সত্যি। আপনার নানা কাজে তার এমন ধারণাই তৈরি হয়েছে। সে বুঝে গেছে আপনি তাকে ভালোবাসেন না, তাকে ব্যবহার করছেন। এ কারণে ধীরে ধীরে বাড়িয়ে দিতে পারে দূরত্ব।

মানসিক ঘনিষ্ঠতা নেই

ভালোবাসার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে চাইলে মানসিক ঘনিষ্ঠতা থাকা জরুরি। পরস্পরের সঙ্গে মন খুলে কথা বলা প্রয়োজন। যেন মন খারাপ হলে একজন আরেকজনের পাশে থাকে। পরস্পরের প্রতি ভরসার জায়গা থাকে। কিন্তু এই মানসিক ঘনিষ্ঠতা না থাকার কারণে দূরত্ব বাড়তে থাকে। প্রেমিকার প্রতি ভরসা বা আস্থা না থাকলে ছেলেরা সেই সম্পর্ক থেকে সরে আসতে চায়।

প্রেমিকা দায়িত্বজ্ঞানহীন হলে

সম্পর্কে ছেলেরা বেশিরভাগ দায়িত্ব পালন করে। কিন্তু তারা চায় প্রেমিকাও কিছু দায়িত্ব নিক। সম্পর্কের সব ভার তাকে একা বহন করতে দেবেন না। আপনিও স্বনির্ভর হোন। বর্তমানের ছেলেরা আরও বেশি স্মার্ট, বুদ্ধিদীপ্ত, নিজের কাজ নিজে করতে জানা মেয়ে বেশি পছন্দ করে। প্রেমিকা দায়িত্বজ্ঞানহীন হলে প্রেমিক তাকে ছেড়ে যেতে পারে।

প্রেমিকার কাছ থেকে আঘাত পেলে

প্রেমিকার কাছ থেকে দিনের পর দিন আঘাত পেয়ে গেলে একটা সময় প্রেমিক মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য। কারণ যার কাছ থেকে অনবরত আঘাত পেতে থাকে, মানুষ তাকে বেশিদিন মনে স্থান দিতে পারে না। একটা সময় আপনার প্রেমিকেরও তাই মনে হতে পারে যে এই সম্পর্কে আর এগোনো যাবে না। সেখান থেকেই নিতে পারে ব্রেকআপের মতো সিদ্ধান্ত।