আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয় প্রথম ১৯০৯ সালে। ওই বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম আমেরিকায় নারী দিবস উদযাপন করা হয়। এরপর ১৯১০ সালে কোপেনহেগেনের উদ্যোগের পর, ১৯ মার্চ অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি এবং সুইজারল্যান্ডে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয়। নারীর কাজের অধিকার, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ এবং কাজের বৈষম্যের অবসানের জন্য প্রতিবাদ করেন লক্ষ মানুষ। একই সঙ্গে রাশিয়ান নারীরাও প্রথমবার ২৮ ফেব্রুয়ারি শান্তির দাবিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বিরোধিতা করেন।

অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘ ১৯৭৫ সালের ৮ মার্চ দিনটিকে প্রথম আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ সদস্য রাষ্ট্রদের নারী অধিকার ও বিশ্ব শান্তি রক্ষার জন্য জাতিসংঘ দিবস হিসেবে ৮ মার্চকে ঘোষণা করার আহ্বান জানায়।

বিশ্বরঙ সবসময়ই তার শিল্প ভাবনায় সামাজিক চেতনার সহযাত্রী। সেই চেতনারই বর্হিপ্রকাশ বিশ্বরঙ নারী দিবস ২০২১ এর সব প্রয়াসে। নারী দিবসকে ঘিরেও তাই বিশ্বরঙ এর ফ্যাশনে এসেছে নানানরকম বৈচিত্র। এখন এটি কেবল উদযাপনের দিন নয়, এটি নারী অধিকার ও বিশ্ব শান্তি রক্ষার একটি দিন। নারী দিবসের পোশাকগুলোকে সাজানো হয়েছে বেগুনি রঙের আবেশে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাদা রঙ দিয়েছে শুভ্রতার এক ভিন্নমাত্রা।

নারী দিবসের পোশাকগুলোতে ব্যবহার করা হয়েছে সুতি কাপড়। বিশ্বরঙ এর শাড়ি, থ্রি-পিস, পাঞ্জাবি, টি-শার্ট, উত্তরীয়, মগ ইত্যাদিতে বেগুনি রঙে জ্যামিতিক নকশার বিভন্ন নান্দনিক অনুষঙ্গ যোগ হয়েছে। কাজের মাধ্যম হিসেবে এসেছে টাই-ডাই, ব্লক, বাটিক, অ্যাপ্লিক, কাটওর্য়াক, স্ক্রিনপ্রিন্ট ইত্যাদি।

এইচএন/এএ