টমেটো খাওয়া জরুরি কেন?
টুকটুকে লাল, গোলগাল এই সবজি রান্নার স্বাদ বাড়াতে অতুলনীয়। শীতকালীন সবজি হলেও সারাবছরই দেখা মেলে এই সবজির। টক স্বাদের বলে এটি দিয়ে চাটনি, সস ইত্যাদিও তৈরি করা হয়। নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন কোন সবজির কথা বলছি? ঠিক ধরেছেন, বলছি টমেটোর কথা। শুধু স্বাদ নয়, পুষ্টিমানের দিক থেকেও টমেটো অনন্য। সবচেয়ে বেশি উপকার মেলে টমেটো রান্না ছাড়াই খেলে। তবে রান্না করে খেলেও মেলে নানা উপকার। এই সবজিতে আছে ভিটামিন এ, কে, বি১, বি৩, বি৫, বি৬, বি৭ ও ভিটামিন সিসহ উপকারী সব উপাদান। এতে আরও আছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্রোমিয়াম, ফোলেট, আয়রন, ফসফরাস, কোলিন ও কপার। এসব উপাদান আমাদের শরীর ভেতর থেকে সুস্থ রাখে।
বিজ্ঞাপন
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগলে নিয়মিত টমেটো খাওয়া উচিত। কারণ এতে থাকা পটাশিয়াম শরীরে রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। টমেটোতে আরও আছে প্রচুর খনিজ পদার্থ। তাই নিয়মিত টমেটো খেলে ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে দ্রুতই। ত্বক ভালো রাখতে বাহ্যিক রূপচর্চার চেয়েও ভেতর থেকে যত্ন নেয়া বেশি জরুরি।
ওজন কমায়
বাড়তি ওজন মানে বাড়তি দুশ্চিন্তা। কারণ অতিরিক্ত ওজন আরও অনেক অসুখের কারণ হতে পারে। যারা ওজন কমাতে চাইছেন কিংবা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইছেন তাদের জন্য উপকারী খাবার হতে পারে টমেটো। নিয়মিত টমেটোর রস পান করলে দ্রুত ওজন কমানো সম্ভব। প্রতিদিন চেষ্টা করুন একগ্লাস টমেটোর রস পান করতে।
দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়
বর্তমানে একটি পরিচিত সমস্যা হলো দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া। আপনি যদি নিয়মিত পাতে টমেটো রাখেন তবে এই সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এতে আছে বিটা-ক্যারোটিন ও লাইকোপেন যা আমাদের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে টমেটো।
কম ক্যালরি
টমেটোতে ক্যালরির পরিমাণ বেশ কম। এতে প্রায় ৯৪ শতাংশ পানি থাকে। প্রতি একশো গ্রাম টমেটোতে ১৭ গ্রাম ক্যালরি থাকে। তাই প্রতিদিন টমেটো খেলেও বাড়তি ক্যালরি জমা হওয়ার ভয় নেই।
মেটাবলিজম বাড়ায়
মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে টমেটো। এই সবজিতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লাইকোপেন। এটি শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। পাশাপাশি বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। লাইকোপেন মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। যে কারণে নিয়মিত টমেটো খেলে শরীরের বাড়তি মেদ ঝরে দ্রুত।
জি নিউজ অবলম্বনে।
এইচএন/এএ