অফিস নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন? এভাবে সামলে নিন
যারা কর্মজীবী, প্রতিদিন যাদের অফিসে যেতে হয় তাদের ক্ষেত্রে দুশ্চিন্তা কিংবা মানসিক চাপে থাকা অস্বাভাবিক নয়। বিভিন্ন গবেষণায়ও উঠে এসেছে এমন তথ্য। যেখানে বলা হয়েছে, অফিসজনিত বিভিন্ন কারণে অনেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকেন, এমনকী ভুগে থাকেন অবসাদেও। নিজের কর্মক্ষমতা ও যোগ্যতা সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী থাকতে হলে মেনে চলতে হবে কিছু বিষয়। এতে অফিসের চাপ সামলেও আপনি ভালো থাকতে পারবেন।
দুশ্চিন্তার কারণ
বিজ্ঞাপন
লিংকডইনের একটি গবেষণা থেকে জানা গেছে, মূলত তিন কারণে দুশ্চিন্তায় ভুগে থাকেন বেশিরভাগ কর্মী। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো, তারা বুঝতে পারেন না কীভাবে পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবন ব্যালান্স করবেন। দ্বিতীয় কারণ হলো, তারা তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন পান না। তৃতীয় কারণ হলো, তারা তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী উন্নতি করতে পারেন না। আপনিও যদি অফিস সংক্রান্ত কোনো দুশ্চিন্তায় ভুগে থাকেন তবে জেনে নিন তা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার উপায়-
শুরুটা হোক ভালো
অফিসে যাওয়ার আগের সময়টুকুতে আপনি কী করেন? আপনি যদি ঘুম থেকে দেরিতে ওঠেন, পরিবারের জন্য রান্নাবান্না, টিফিন তৈরি, শিশুকে স্কুলে দেওয়া ইত্যাদি কাজ সেরে জ্যাম পাড়ি দিয়ে অফিসে আসেন তবে মেজাজ তো খিটখিটে হবেই। এতকিছুর পর অফিসের কথা ভাবলে আপনার বিষণ্ন লাগাটাই স্বাভাবিক। তাই দিনের শুরুটা যতটা সম্ভব সুন্দর করুন। সকালে উঠে কী করবেন তা আগের দিনই ভেবে রাখুন। সব কাজের দায়িত্ব নিজের ঘাড়ে নেবেন না। বরং কাজগুলো ভাগ করে নিন। আপনি ঠিক ততটুকুই করুন, যতটুকু করলে আপনার দিনের শুরুটা সুন্দর থাকবে। এতে আপনি প্রশান্ত মনে অফিসে যেতে পারবেন।
গোছানো ও পরিপাটি থাকুন
গোছানো ও পরিপাটি স্বভাবের মানুষেরা সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে থাকেন। কাজের ধরন ও গুরুত্ব বুঝে সময়টুকু ভাগ করে নিন। যে কাজগুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেগুলো আগে করুন। অফিসের কাজগুলোর জন্য একটি নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করে নিতে পারেন। একটানা কাজ না করে কিছুক্ষণ পরপর বিরতি নিন। চেষ্টা করুন হাসিখুশি থাকতে। কপালে সারাক্ষণ চিন্তার ভাঁজ ফেলে রাখলে তা কিন্তু স্থায়ী দাগ হিসেবে বসে যেতে পারে! তাই কাজ যখন করতেই হবে, মনে আনন্দ নিয়ে করুন। নিজের কাজের প্রতি ভালোবাসা তৈরি করুন। এতে কাজের চাপে আর অস্থির লাগবে না।
মাল্টিটাস্কিং প্রয়োজন নেই
অফিসের কাজের ক্ষেত্রে মাল্টিটাস্কিং জানা মানুষগুলো বেশ গুরুত্ব পায়। কিন্তু এই দৌড়ে আপনার সামিল হওয়ার প্রয়োজন নেই। একসঙ্গে অনেক কাজ করতে গিয়ে গুলিয়ে ফেলার চেয়ে বরং নির্দিষ্ট কাজই মন দিয়ে করুন। এতে আপনার পেশাগত দায়িত্বও সঠিকভাবে পালন করা হবে। সেইসঙ্গে অন্যরা পারছে এবং আপনি কেন পারছেন না সেই আক্ষেপও দূর হবে।
পারফেকশনিস্ট হতে হবে না
অফিস থেকে যেমন চায় ঠিক তেমনই কাজ করে দিন। সঠিক সময়ে কাজ জমা দিন। কীভাবে কাজ করলে পারফেক্ট হবে, সবাই প্রশংসা করবে তা নিয়ে ভাবার দরকার নেই। বরং অফিসের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করুন। নিজেকে অযথা চাপে ফেলার দরকার নেই। কাজকে ব্যক্তিগত স্তরে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। কাজের ক্ষেত্রে প্রফেশনাল থাকুন।