হজমক্ষমতা ভালো থাকলে বিভিন্ন অসুখের ভয় অনেকটাই কমে যায়। কারণ ভালো হজমের ফলে সঠিক পুষ্টি শরীরে পৌঁছাতে পারে। এদিকে বদ হজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আপনাকে নানাভাবে অসুস্থ করে দিতে পারে। পেটের এ ধরনের সমস্যায় যারা ভুগছেন, তাদের একের পর এক অসুখ লেগেই থাকে। কোনো খাবার খেয়েই যেন স্বস্তি মেলে না। এমন সমস্যা থেকে বাঁচতে কিছু পরিচিত খাবার। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ৫ খাবার সম্পর্কে-

​হলুদ খাবেন যে কারণে

হলুদে থাকে কারকিউমিন। এটি সেরা প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। আপনি যদি বদ হজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে হলুদ খাওয়ার অভ্যাস করুন। রান্নায় তো ব্যবহার করবেনই, সেইসঙ্গে তৈরি করে খেতে পারেন হলুদ চা। এছাড়া গোল্ডেন মিল্ক অর্থাৎ দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়েও খেতে পারেন। গরম পানি ও মধুর সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খেলেও উপকার পাবেন।

গোলমরিচ খান নিয়মিত

উপকারী একটি মসলা হলো গোলমরিচ। এটি খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি তো করেই, সেইসঙ্গে শরীরের জন্যও উপকারী। গলা, ফুসফুস, অন্ত্র, পেশী, জয়েন্টসহ সব ধরনের প্রদাহ কমাতে কাজ করে। এটি কাশি-ঠান্ডা, জয়েন্টে ব্যথা, অ্যানোরেক্সিয়া ইত্যাদি কমাতেও কার্যকরী। খাবারের সঙ্গে কিংবা চায়ে এটি ব্যবহার করতে পারেন।

আদার উপকারিতা

পেটের নানা ধরনের সমস্যা যেমন পেটে ব্যথা, ক্র্যাম্প, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি সমস্যা দূর করতে কাজ করে আদা। বদ হজমের সমস্যায় আদা বেশ কার্যকরী। চায়ের সঙ্গে নিয়মিত আদা কুচি খাওয়ার অভ্যাস করুন। এছাড়া আদার রস খেতে পারেন। নিয়মিত এভাবে খেলে পেটের নানা সমস্যা দূর হবে সহজেই।

​লবঙ্গ পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখে

লবঙ্গ এমন একটি মসলা যা পেট ঠান্ডা রাখে ও পেটকে আরাম দেয়। সেইসঙ্গে এটি দাঁতের ব্যথা, গলা ব্যথা, জয়েন্টের ব্যথায়ও কার্যকরী। পেটের সমস্যা প্রতিরোধে লবঙ্গ খেতে পারেন চায়ের সঙ্গে। এছাড়া বাহ্যিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে লবঙ্গ তেল ব্যবহার করতে পারেন।

মেথির কার্যকারিতা

মেথির আছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য যা প্রদাহ দূর করতে কাজ করে। এটি ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, ফোলাভাব, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়েছে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। পানিতে মেথি ফুটিয়ে সেখান থেকে ভাপ নিতে পারেন। এছাড়া এটি বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন।