অভিভাবক হিসেবে আপনি কেমন?
জন্ম থেকে বেড়ে ওঠা পর্যন্ত মা ও বাবা সন্তানকে যথার্থ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। সন্তানরা যতই বড় হোক না কেন, মা-বাবার কাছে তারা সেই ছোট্ট খোকা-খুকু হয়েই থাকে। মা-বাবা সন্তানদের ভালোবাসা দিয়ে আগলে রেখে বড় করে তোলেন। সন্তানকে নিরাপদ রাখতে মা-বাবা যেমন ভালোবাসেন, তেমনই কখনো অভিভাবকত্বের নিদর্শনস্বরূপ শাসন করেন। সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য মা-বাবা সবসময়ই উদ্বিগ্ন থাকেন। মা-বাবা হিসেবে আপনি কতটা দায়িত্বশীল? মিলিয়ে নিন-
বিজ্ঞাপন
সন্তান আপনার কাছে সব কথা বলে
সন্তান আপনার সামনে রাগ, দুঃখ বা ভয়ের ব্যাপারে বলতে পারলে বুঝে নেবেন আপনারা সঠিক অভিভাবকত্বের সীমারেখায় রয়েছেন। সন্তানের মনের কথা শোনার মাধ্যমে তার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়। অধিকাংশ সময় সন্তানের সঙ্গে দূরত্ব হয় আবেগের বহিঃপ্রকাশ না করতে পারার কারণে। তাই সন্তানের মনের কথা শুনুন ও তাকে গুরুত্ব দিন। সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তাকে ভালো পরামর্শ দিন।
সমস্যা সমাধানে আপনার কাছেই আসে
সন্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হলে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য সে আপনার কাছেই আসে। সেই জায়গা অভিভাবককেই দিতে হয়। সমস্যা সমাধানে অভিভাবকের কাছে আসতে অনেকে ভয় করে। যেসব অভিভাবক খোলামেলা কথা বলেন তাদের সন্তান যে কোনো সমস্যা নিয়ে কথা বলতে পারে। যে কোনো সমস্যার সমাধানের জন্য সন্তান আপনার দ্বারস্থ হলে সেটি ভালো অভিভাবকত্বের উদাহরণ।
নির্ভয়ে নিজের ভাবনা প্রকাশ করতে পারে
সন্তান আপনার প্রতিক্রিয়ার ভয় না করে তার মতামত প্রকাশ করতে পারা নিরাপদ অভিভাবকত্বের একটি লক্ষণ। অনেক পরিবারে সন্তানরা নিজের মতামত অভিভাবকের সামনে প্রকাশ করতে পারেন না। নির্ভয়ে অভিভাবকের কাছে মতামত প্রকাশ করতে সমর্থ না হলে সন্তান অনেক সময় বিপথে চলে যায়। সন্তান বিপথে চলে গেলে পরিবারের মারাত্মক ক্ষতি হয়। তাই সন্তানের চিন্তাভাবনা মনোযোগ দিয়ে শোনা ভালো অভিভাবকত্বের একটি নিদর্শন।
অভিভাবকরা সন্তানের মেধার মূল্যায়ন করেন
সন্তানের মেধার মূল্যায়ন করলে তারা উদ্যমী ও পরিশ্রমী হয়ে ওঠে। অভিভাবকরা অনেক সময় সন্তানের মেধার মূল্যায়ন করেন না। মেধার মূল্যায়ন করার মাধ্যমে অভিভাবকত্বের মাপকাঠিতে নতুন মাত্রা দেয়া যায়। যেসব অভিভাবক সন্তানের মেধার মূল্যায়ন করেন তারা সন্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে সমর্থ হন। সন্তানের মেধার মূল্যায়ন করার সময় মা-বাবাকে অবশ্যই সহনশীল হতে হবে।
এইচএকে/এইচএন/এএ