ঐশ্বরিয়া মা হিসেবে যে কাজগুলো করেন
মা হওয়ার আগের পৃথিবীর সঙ্গে মা হওয়ার পরের পৃথিবীর অনেকটাই পার্থক্য। কারণ একজন নারী মা হওয়ার পর তার অগ্রাধিকার থাকে সন্তানের প্রতিই। সন্তানের জন্মের পর মা যেন নিজের থেকেও বেশি তার যত্ন করেন, যেখানেই যান না কেন সন্তান থাকে সঙ্গে। তারকারাও আমাদের মতোই মানুষ। সবকিছু ছাপিয়ে তাদের মাতৃত্ব বা পিতৃত্ব যেন ফুটে ওঠে। তেমনই একজন তারকা হলেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। তার একমাত্র সন্তান আরাধ্য যেন তার নয়নের মণি।
পুরো পৃথিবীর অন্যতম সুন্দরী নারী যিনি, তিনি একজন আদর্শ মা-ও। সাবেক এই বিশ্বসুন্দরী অনেক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, মা হওয়ার পর থেকে তার জীবনের প্রথম অধিকার তার মেয়ের। মা-কন্যাকে প্রায় সব অনুষ্ঠানেই একসঙ্গে দেখা যায়। কর্মরত মায়েদের অনুপ্রেরণা হতে পারেন ঐশ্বরিয়া। জেনে নিন মা হিসেবে তিনি কোন কাজগুলো করেন-
বিজ্ঞাপন
ব্যস্ততার মাঝেও রাখেন খেয়াল
এটি খুব স্বাভাবিক যে ঐশ্বরিয়া তার সমস্ত কাজের জন্য বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত ভ্রমণ করবেন। কাজের প্রয়োজনে তাকে এমনটা প্রায়ই করতে হয়। এদিকে প্রতিটি সফরেই সঙ্গে রাখেন তার মেয়েকে। বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসব বিশেষ করে কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও তাকে দেখা যায় মেয়ের সঙ্গে। শত ব্যস্ততার মাঝেও মেয়ের খেয়াল রাখতে ভোলেন না।
যত্ন নেওয়া
অত্যন্ত ব্যস্ত শিডিউল মেলানোর পরে আন্তর্জাতিক এই আইকন মেয়ে নিজে স্কুলে নিয়ে যান। যত্ন করার জন্য অনেক লোক থাকার পরে মেয়ের সবদিক একা হাতে সামলান ঐশ্বরিয়া। নিজের মাতৃত্বকে উপভোগের কোনো সুযোগই তিনি হারাতে চান না।
কন্যার সঙ্গে সময় কাটানো
যেকোনো সম্পর্ক সুন্দর করার জন্য কোয়ালিটি টাইম কাটাতে হয়। এমনকী সেটি থাকতে হয় বাবা-মা-সন্তানের মধ্যেও। এই কাজ করে থাকেন ঐশ্বরিয়া। মেয়ের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম কাটাতে ভুল করেন না তিনি। তিনি চান তার সন্তান যেন পরিণত ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে। তাই সব সময় তার পাশে থাকেন ছায়ার মতো।
লাইমলাইট থেকে দূরে
কন্যা আরাধ্যর জন্মের পর অনেকটা সময় মিডিয়া থেকে দূরে রেখেছিলেন তার মা-বাবা। তাদের মতে, ছবি তোলার সময় তাদের সন্তান হয়তো ভয় পেতে পারে। তাই মিডিয়া থেকে দূরে রেখে মেয়েকে বড় করছিলেন। এরপর দাদা অমিতাভ বচ্চনের জন্মদিনে মেয়েকে সবার সামনে আনেন তারা।
কখনো হুকুম করেন না
নিজের সব ধরনের নিয়ম-নীতি মেয়ের ওপর চাপিয়ে দিতে চান না ঐশ্বরিয়া। তিনি চান মেয়েকে সুস্থ, সফল ও সুখি দেখতে। আরাধ্য যেন নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারে সেই শিক্ষাটাই দেন তিনি। আয়ার বদলে বিভিন্ন কাজে নিজেই সাহায্য করেন মেয়েকে। সব সময় মেয়েকে সঙ্গে রাখা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে ট্রলের শিকার হলেও সেদিকে গুরুত্ব দেননি ঐশ্বরিয়া। মাতৃত্ব ও ক্যারিয়ার সফলভাবেই সামলে যাচ্ছেন তিনি।