ঈদুল আজহায় মাংস দিয়ে তৈরি নানা পদ খাওয়া হয়। এক্ষেত্রে রান্না এবং খাওয়ার সময় কিছু বিষয়ে নজর রাখতে হবে। এমনকী খাওয়ার পরেও করতে হবে কিছু কাজ। মাংসের সুস্বাদু সব পদ খেয়ে নিজেকে সুস্থ রাখার প্রচেষ্টা থাকতে হবে নিজেরই। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক-

সময় নিয়ে রান্না করুন
অনেকে মাংস গ্রিল, ফ্রাই, ডিপ ফ্রাই করে খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু এভাবে না খেয়ে অল্প আঁচে বেশি সময় ধরে মাংস রান্না করে খান। মাংস স্টিম বা বেক করেও খেতে পারেন। এতে মাংসের কিছু ক্ষতিকর উপাদান থেকে বাঁচা যায়।

মাংস পুড়ে গেলে তা বাদ দিন
রান্না করতে গিয়ে অনেক সময় মাংস পুড়ে যেতে পারে। সেই পোড়া মাংসসহই রান্না করবেন না। এতে স্বাদ ও গন্ধ তো নষ্ট হবেই, সেইসঙ্গে নষ্ট হবে পুষ্টিগুণও। তাই রান্না করতে গিয়ে মাংস পুড়ে গেলে সেই পোড়া অংশ বাদ দিয়ে মাংস রান্না করুন।

ম্যারিনেটের কৌশল
মাংস খাওয়া কারও কারও জন্য কিছুটা ক্ষতিকর হতে পারে। এক্ষেত্রে রান্নার আগে অলিভ অয়েল, লেবুর রস এবং রসুন দিয়ে মাংস ম্যারিনেট করলে ক্ষতির পরিমাণ কমানো সম্ভব।

ফ্যাটি অ্যাসিড কমাবেন যেভাবে
মাংসে থাকে ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি কমানোর উপায় কিন্তু আছে। রান্নার আগে মাংস ফুটিয়ে নিতে পারেন মিনিট পাঁচেক। এতে মাংসে থাকা ফ্যাটি এসিড কমে যায়।

চর্বি বাদ দিন
মাংসের সঙ্গে থাকা চর্বি শরীরের জন্য বেশি ক্ষতিকর। তাই মাংস থেকে যতটা সম্ভব চর্বি বাদ দিয়ে খাবেন। রান্নার সময় যতটা সম্ভব চর্বি কেটে বাদ দিয়ে দেবেন।

নিষেধ থাকলে
যাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের নিষেধ আছে অর্থাৎ হৃদরোগ, ডায়াবেটিস হেপাটাইটিস, আলসার এবং কিডনি রোগে আক্রান্তদের গরুর মাংস খাওয়ার ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি। সম্ভব হলে ঈদের আগেই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নিন। দিন কতটুকু মাংস খেতে পারবেন তা জেনে নিন।

শরীরচর্চা করুন
ঈদের সময়ে মাংস যদি বেশি খাওয়া হয় তবে শরীরচর্চার পরিমাণও বাড়িয়ে দিতে হবে। ঈদের ছুটি বলে অলসতা করবেন না। কারণ অসুখ-বিসুখ কিন্তু ছুটি চেনে না। তাই ধরে রাখতে হবে শরীরচর্চার অভ্যাস।

মাংস দীর্ঘ সময় ফ্রিজে রাখবেন না
মাংস দীর্ঘ সময় ধরে ফ্রিজে রাখবেন না। কোরবানির মাংস ভাগ করার পর যতটুকু থাকে তা রান্না করুন এবং বাকি অংশ ফ্রিজে রাখুন। সব জমিয়ে রাখবেন না। ফ্রিজে জমিয়ে রাখা মাংস দীর্ঘদিন পর খেলে হতে পারে পেটব্যথা, বদহজম, ডায়ারিয়া, বমি এবং অন্যান্য সমস্যার কারণ হতে পারে।

অন্যান্য অংশও খান
কেবল মাংসই নয়, সেইসঙ্গে কলিজা, মগজ, ভুড়ি, পায়া এসবও খাবেন। কারণ বিভিন্ন অংশে মিলবে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি। কলিজা খাওয়া যদি কোনো কারণে নিষেধ হয় তাহলে খাবেন না।