ঈদের পরের পরিচ্ছন্নতায় যা করবেন
ঈদুল আজহায় কোরবানির পশু জবাই ও মাংস কাটাকাটিতে কেটে যায় দিনের অনেকটা সময়। বাড়ির নারীর সদস্যরা ব্যস্ত থাকেন রান্নাঘরে। মাংস ও ভুঁড়ি পরিষ্কার, রান্না, মাংস সংরক্ষণ সবকিছু তাদের সামলাতে হয়। এসব কাজ শেষে পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি থেকে যায়। ঈদের সব কাজ শেষে আপনি যদি পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি ঠিকভাবে না করেন, তবে রোগ-জীবাণু আক্রমণ করতে সময় নেবে না। জেনে নিন ঈদের পরের পরিচ্ছন্নতায় কী করবেন-
পশু জবাইয়ের স্থান পরিষ্কার
বিজ্ঞাপন
যে স্থানে পশু জবাই এবং মাংস কাটার কাজ হয়েছে, কাজ শেষে সেই স্থান পরিষ্কার করতে হবে। করতে জবাইকৃত পশুর রক্ত পরিষ্কার না করলে সেই স্থানে দ্রুত ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেবে। সেখান থেকে নানা রোগ-জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার ভয় থাকে। সেইসঙ্গে দুর্গন্ধ তো আছেই। তাই সেই স্থান পানি দিয়ে পরিষ্কারের পর জীবাণুনাশক দিয়ে আরেকবার পরিষ্কার করুন। এতে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা সহজ হবে।
বর্জ্য অপসারণ
কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা জরুরি। এ ধরনের বর্জ্য ফেলতে হবে নির্দিষ্ট স্থানে। বাড়ির আশেপাশে ফেললে দুর্গন্ধ ছড়াবে এবং থাকবে রোগ-জীবাণু ছড়ানোর ভয়ও। তাই পশু জবাইয়ের পর সব ধরনের বর্জ্য দ্রুত অপসারণ করুন। ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান না থাকলে মাটি গর্ত করে তাতে পুঁতে ফেলুন। এতে দুর্গন্ধ ও রোগ-জীবাণু ছড়ানোর ভয় থাকবে না।
রান্নাঘর পরিষ্কার
রান্নাঘরে তৈরি হয় সব ধরনের খাবার। তাই রান্নাঘরের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা জরুরি। রান্নায় ব্যবহারের আগে ও পরে সব ধরনের হাঁড়ি, থালা-বাসন ভালো করে ধুয়ে নেবেন। রান্নার চুলা, রান্নাঘরের মেঝে, বেসিনসহ সব স্থান ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। কারণ এসব স্থানে খাদ্যকণা জমে জীবাণু ও দুর্গন্ধের জন্ম দিতে পারে। ঈদের সময় যেহেতু রান্নার আয়োজন বেশি থাকে তাই এসময় পরিষ্কারের প্রয়োজনীয়তাও বেশি।
নিজের পরিচ্ছন্নতা
সবকিছুর পাশাপাশি নিজেকেও রাখতে হবে পরিচ্ছন্ন। মাংস কাটাকাটি কিংবা রান্নাবান্না করতে গিয়ে আপনি ঘেমে-নেয়ে একাকার হবেন। আপনার কাপড়ে লেগে থাকবে তেল-মসলার গন্ধ। সবকিছু পরিষ্কারের পর নিজেও ভালোভাবে পরিচ্ছন্ন হোন। কারণ ঘামের কারণে আপনার শরীরে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হবে। তাছাড়া অপরিচ্ছন্ন থাকতে নিশ্চয়ই কারও ভালোলাগে না! সব কাজ শেষে নিজেও পরিপাটি হোন। এতে স্নিগ্ধতায় ভরে উঠবে চারপাশ।