বিয়ের পর পুরুষের যে ৫ কাজ করা জরুরি
বিয়ের পর খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যেকের জীবনে আসে কিছু পরিবর্তন। দুজনে দুজনের ওপর নির্ভরতা, দায়িত্ববোধ তৈরি হয়। তাই থাকতে হয় সতর্কও। বিয়ে আগে প্রেম থাকে যাদের, তারা ভাবেন বিয়ে বুঝি প্রেমের মতোই। আসলে তা নয়। বিয়ের পর শুরু হয় সংসার। ঘর পরিষ্কার করা থেকে শুরু করে আলু-পটল কিনে আনা, সব ধরনের দায়িত্বও পালন করতে হয়।
বেশিরভাগেরই ধারণা, বিয়ের পর নারীদের দায়িত্ব অনেক বেড়ে যায়। এটি ভুল নয়। তাই বলে পুরুষের দায়িত্ব যে বাড়ে না তা কিন্তু নয়। বিয়ের পর পুরুষের দায়িত্বও বেড়ে যায় কয়েক গুণ। অনেক সময় নিজের কাজগুলো বুঝতে না পারার কারণে সংসারে তৈরি হতে পারে সমস্যা। তাই বিয়ের পর পুরুষকে করতে হবে এই ৫ কাজ-
বিজ্ঞাপন
স্বনির্ভর হোন
অধিকাংশ পুরুষ বাড়িতে নিজের কাজ নিজে করতে পারেন না। এ কারণে সমস্যা তৈরি হয়। প্রত্যেকেরই উচিত স্বনির্ভর হওয়া অর্থাৎ নিজের কাজ নিজে করতে শেখা। এতে অনেক সমস্যারই সহজ সমাধান হয়। তাই সবকিছুতে স্ত্রী বা অন্য কারও ওপর নির্ভর না করে স্বনির্ভর হয়ে উঠুন। যে যার কাজ করলে সংসারে ঝামেলার সৃষ্টি হবে না।
আর্থিক নিশ্চয়তা তৈরি
ভালো থাকার জন্য টাকার বিকল্প নেই। যখন সংসার শুরু করবেন, অনেককিছুরই প্রয়োজন হবে যার জন্য টাকার দরকার। এমন অবস্থায় আপনার চোখ-কান রাখতে হবে খোলা। আর্থিকভাবে স্বচ্ছল থাকার বিকল্প নেই। কারণ আপনার সংসারে আর্থিক স্বাচ্ছল্য থাকলে সবকিছু গতিশীল থাকবে। জীবন ঠিকভাবে এগিয়ে নিতে হলে আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকা চাই।
টাকা জমানোর অভ্যাস
টাকা জমানো একটি দারুণ অভ্যাস। এই কাজের জন্য তরুণ বয়সটাই উপযুক্ত। বয়সকালে হাতে টাকা থাকা জরুরি। তখন আপনি প্রয়োজনের পাশাপাশি শখগুলোও পূরণ করতে পারবেন। কাউকে উপহার দেওয়া, দেশে-বিদেশে ঘুরতে যাওয়া- সবকিছুর জন্যই প্রয়োজন হবে টাকা। টাকা জমানোর অভ্যাস যদি আগে থেকে না-ও থাকে তবে বিয়ের পরে তা গড়ে তুলুন। এতে আপনাদের দুজনের জীবনই সুরক্ষিত থাকবে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
ভবিষ্যৎ যদি পরিকল্পনাহীন হয় তবে তা মুখ থুবড়ে পড়বে। তাই বিয়ের পরপরই ভবিষ্যতের পরিকল্পনা নতুন করে সাজাতে হবে। শুধু আপনি নন, আপনার স্ত্রীকেও সেই পরিকল্পনার সঙ্গী করে নিন। দুজন মিলে পরিকল্পনা করলে সংসার জীবন আরও সুন্দর হবে। ভবিষ্যতের কথা ভাবছেন এটি আপনার স্ত্রীকে বুঝতে দিন। তাহলে তিনি আরও নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন।
পরিবারকে প্রাধান্য দিন
এমন অনেক পুরুষ আছেন যারা নিজের পরিবারের চেয়ে বাইরের লোকজনকে বেশি প্রাধান্য দেন। তাদের এই কাজ নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করে। কারণ দায়িত্বশীল মানুষেরা সবার আগে পরিবারকে গুরুত্ব দেন। তাই সবকিছুর আগে নিজের পরিবারের দিকে তাকাতে হবে। আপনার স্ত্রীও এই পরিবারেরই অংশ। পরিবারের বন্ধন দৃঢ় হলে জীবন সহজ ও সুন্দর হবে।