বর্তমান সময়ে ব্যস্ততার কারণে অনেকেরই সময় থাকে না শরীর চর্চা করার। তার ওপর বিভিন্ন রকমের খাদ্যাভ্যাস তো রয়েছেই। সব মিলিয়ে শরীরে বাসা বাঁধছে একাধিক রোগ। অল্প বয়সেই নিত্য দিনের সঙ্গী হয়েছে একাধিক ওষুধ। ডায়াবেটিস, প্রেসার, কোলেস্টেরল তো রয়েছে, এর সঙ্গে বাড়তি ওজনের কারণও এই লাইফস্টাইল।

তবে জীবনকে সুশৃঙ্খল রাখতে এবং সুস্থ থাকতে মাত্র ২০ থেকে ৩০ মিনিট ব্যয় করুন। নিয়মিত যোগ ব্যায়াম করুন। যোগাসন দূর করবে শরীরের সব জটিলতা। যোগাসনের এই উপকারিতার কথা স্মরণ করাতে প্রতি বছর ২১ জুন পালিত হয় যোগ দিবস। 

আজ শুভেচ্ছা বার্তায় সবাইকে সুস্থ থাকার বার্তা পাঠাতে পারেন। পাঠকদের জন্য আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের ১০ শুভেচ্ছা বার্তা দেওয়া হলো।  

যোগব্যায়াম হলো ফিট থাকার একমাত্র চাবিকাঠি। আপনার মনকে চাপমুক্ত রাখতে প্রতিদিন এটি করা অপরিহার্য। অল্প বয়সেই ডায়াবেটিস, প্রেসার, হার্টের রোগ থেকে নানান রোগ শরীরে বাসা বাঁধছে। এর থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত যোগ করার পরামর্শ নিয়ে থাকেন অনেকে। তাই সুস্থ থাকতে রোজ নিয়ম করে যোগাসন করুন। 

যোগ হলো প্রতিটি শ্বাসের সংগীতের সঙ্গে প্রতিটি কোষের নাচ। যা অভ্যন্তরীণ প্রশান্তি ও সাদৃশ্য তৈরি করে। ২০১১ সালে ৬৯ তম সাধারণ সভায় ২১ জুন বিশ্ব যোগ দিবস পালন করার জন্য জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছিল। সেই থেকে প্রতি বছর ২১ জুন পালিত হয় আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। এটি হল প্রাচীন ভারতে উদ্ভূত বিশেষ ধরনের অনুশীলন।

যোগের প্রকৃতি হলো দেহের অন্ধকার কোণে সচেতনতার আলো জ্বালানো। যোগে থাকুন, সুস্থ থাকুন। তবে শরীরে কথা মাথায় রেখে যোগাসন করুন। আপনার শরীরে কোনো রকম জটিলতা আছে কি না তা আগে জেনে নিন। শরীরে কোনো রকম সমস্যা থাকলে আপনার জন্য ব্যায়াম উপযুক্ত কি না তা জেনে নিন। তা না জেনে ব্যায়াম করবেন না।

যারা নিজেদের জীবনে যোগাসন গ্রহণ করেছেন তারা জীবনের একটি সুন্দর অধ্যায় শুরু করেছেন। সুস্থ থাকতে, দীর্ঘায়ু ও সুখী জীবনযাপনের জন্য শিগগিরই যোগব্যায়াম শুরু করুন। কিন্তু, সঠিক নিয়ম মেনে কয়টি যোগাসন করলেই হলো না। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে প্রয়োজন বাড়তি কিছু। যোগাসন করতে বিশেষ করে নজর দিতে হবে খাওয়া-দাওয়ার ওপর।

মানসিক চাপের মধ্যে যোগব্যায়াম হতে পারে সেরা প্রতিষেধক। ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের জন্য প্রস্তুত থাকুন। শরীর ও মন সুস্থ রাখতে প্রতিদিনের রুটিনের অংশ হিসেবে যোগ করুন যোগাসন। যোগা হল শারীরিক, মানসিক ব্যায়াম ও আধ্যাত্মিক অনুশীলন। যা নিয়মিত করলে শরীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় থাকে। 

যা সহ্য করতে পারি না, তাই আমাদের সহ্য করতে শেখায় যোগাসন। যা নিরাময় হওয়া অসম্ভব, তাই নিরাময় করে যোগ ব্যায়াম। এদিক উপযুক্ত পোশাক পরে ব্যায়াম করবেন। যোগাসন করতে উপযুক্ত ব্যায়াম করা সবার আগে দরকার। ব্যায়ামের পোশাক আলাদা ধরনের কাপড় দিয়ে তৈরি হয়।

যোগব্যায়াম জীবনের ভারসাম্য রক্ষা করে। সুস্থ থাকতে নিত্য রুটিনে যোগ করুন যোগাসন। সুস্থ থাকতে নিয়মিত যোগাসন করুন। প্রতি বছর ২১ জুন পালিত হয় যোগা দিবস। 

যোগ হলো সুখের প্রবেশদ্বার। যা শরীরের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজন। যোগাসন করার সময় অধিকাংশ মানুষ একটা ভুল করে থাকে। তা হল, কঠিন ব্যায়ামের সময় নিঃশ্বাস বন্ধ রাখা। জানেন কি, এতে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। ব্যায়ামের সময় শ্বাস- প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন।

যোগ হলো সেই আলো যা একবার জ্বালালে কোনো দিন তা অনুমেয় হবে না। আপনি যত অনুশীলন করবেন তত উজ্জ্বল হবেন।এদিকে, যোগা করার আগে ও পরে কী খাবেন, তা নিয়ে নানা রকম চিন্তা থাকে অনেকের মনে। এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত জেনে তবেই ব্যায়াম করুন।  

যোগাসন আপনার জীবনে আরও বছর যোগ করে। আপনার বছরগুলোতে জীববদান করে। যোগ দিবসে সুস্থ থাকুন। মন শান্ত রাখুন ব্যায়াম করার সময়। রোজ যোগাসন করার আগে পর্যাপ্ত সময় বরাদ্দ করুন। ধীরে ধীরে ব্যায়াম করুন। তাড়াহুড়ো করলে কোনো উপকার পাবেন না।

এসএম