গরমে যেসব খাবার পানিশূন্যতা বাড়ায়
গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ার সবচেয়ে বড় কারণ হলো পানিশূন্যতা। এসময় আমাদের শরীর হাইড্রেটেড রাখা জরুরি। বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়েও গরমের সময়ে পানি পান করতে হবে বেশি। শুধু পানিই নয়, তরল জাতীয় বিভিন্ন খাবার খেতে হবে। যেসব ফলে পানির অংশ বেশি, সেগুলো খেতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন শরীর পানিশূন্য হয়ে না পড়ে।
গরমের সময়ে খাবারের তালিকায় কিছু যোগ-বিয়োগ করতে হবে। যেমন তরল জাতীয় খাবার বেশি খাওয়ার পাশাপাশি খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে এমন কিছু খাবার যেগুলো শরীরের পানির ঘাটতি তৈরি করে। প্রতিদিনের অভ্যাসে আপনি হয়তো না জেনেই সেগুলো খেয়ে ফেলছেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারগুলো গরমে আপনার শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি করতে পারে-
বিজ্ঞাপন
কফি
ভীষণ জনপ্রিয় একটি পানীয় হলো কফি। দিনে কয়েক কাপ কফি না হলে চলে না অনেকেরই। এক কাপ খাওয়া যেতেই পারে। কিন্তু অতিরিক্ত কফি খেলে তা এই গরমে আপনাকে পানিশূন্যতার দিকে নিয়ে যাবে। কারণ অতিরিক্ত কফি পানের কারণে শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যায়। কফি এবং চা বেশি খেলে তা শরীরের আর্দ্রতা কমিয়ে দেয়। তাই গরমে খুব বেশি কফি পানের অভ্যাস বাদ দিতে হবে।
ডায়েট কোল্ড ডিংক্স
ডায়েট কোল্ড ডিংক্সে থাকে অত্যাধিক চিনি। আমাদের শরীরের টিস্যু থেকে জলীয় অংশ কমিয়ে দেয় এই চিনি। ফলে শরীর হয়ে পড়ে পানিশূন্য। এই ড্রিংক্স পান করার পর অনেক সময় গলার কাছে শুষ্ক ভাব অনুভব করতে পারেন। তাই এই গরমে ডায়েট কোল্ড ড্রিংক্স পান করার অভ্যাস বাদ দিতে হবে।
অ্যালকোহল
অ্যালকোহল গ্রহণ কখনোই শরীরের জন্য ভালো নয়। বিশেষ করে গরমে পানিশূন্যতা সৃষ্টির পেছনে এটি মূখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে। গরমে অ্যালকোহল গ্রহণ করলে শরীরের আর্দ্রতা চলে যায়। এর ফলে বুকে ও যকৃতে জ্বলন অনুভূত হয়। অ্যালকোহল গ্রহণের অন্যতম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলো ডিহাইড্রেশন।
অতিরিক্ত প্রোটিন
শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন গ্রহণ তো করতেই হবে। কিন্তু আপনি যদি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি প্রোটিন গ্রহণ করে থাকেন তাহলে তা হতে পারে পানিশূন্যতার কারণ। এর কারণ হলো, প্রোটিনের অন্যতম উপাদান নাইট্রোজেনকে ভাঙার জন্য প্রয়োজন পড়ে পানির। যে কারণে প্রোটিন বেশি খেলে শরীর থেকে পানি কমতে থাকে।
সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার
ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। এর প্রভাবে আমাদের শরীর হয়ে পড়ে পানিশূন্য। নোনতা খাবার বেশি খেলে আমাদের কিডনি অনেক বেশি পানি শোষণ করে। যে কারণে শরীরে পানির অভাব দেখা দেয়।