গরমে পোশাক থেকে খাবার, সবকিছুতেই থাকতে হয় সচেতন। কারণ এসময় নিজের স্বস্তির দিকে খেয়াল রাখাটা সবার আগে জরুরি। গরমের তীব্রতায় নাজেহাল হতে না চাইলে নিজেকে সতেজ রাখার উপায় জানতে হবে। তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে বাড়ে গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ার ভয়ও। 

এই গরমে যাদের বাইরে বের হতে হয়, তাদের ক্ষেত্রে রোদ আর ঘামের কারণে নিস্তেজ হয়ে পড়াটাই স্বাভাবিক। তাপমাত্রা অসহ্য হয়ে উঠলেও নিজেকে সুস্থ ও সতেজ রাখার জন্য করতে হবে কিছু কাজ। সেসব উপায় মেনে চললে খুব সহজেই ফুরফুরে ও তরতাজা থাকতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই উপায়গুলো কী-

পোশাক

আপনার পোশাকের ওপর অনেকটাই নির্ভর করছে কতটা গরম আপনি অনুভব করবেন। গরমে কাপড়ের ধরন এবং রঙের প্রতি বিশেষ নজর রাখবেন। এসময় গাঢ় রঙের বদলে পরুন হালকা রঙের সব পোশাক। এতে পরে যেন স্বস্তি পাবেন, তেমন চোখেরও আরাম লাগবে। এদিকে গাঢ় রঙের পোশাক সূর্যের তাপ বেশি শোষণ করে বলে গরমও অনুভূত হয় বেশি। তাই এ ধরনের পোশাক গরমে এড়িয়ে চলুন। খেয়াল রাখুন কাপড়ের প্রতিও। সবচেয়ে ভালো হয় সুতির পোশাক পরতে পারলে। এ ধরনের পোশাক আপনাকে সতেজ অনুভূতি দেবে।

চুল বাঁধা

গরমে স্বস্তির জন্য চুল বাঁধার ধরনের দিকেও নজর দিন। আপনার ঘন কালো চুল খোলা রাখলে দেখতে সুন্দর লাগে ঠিকই কিন্তু গরমে এই কাজ করতে যাবেন না। কারণ এতে অস্বস্তিই বাড়বে শুধু। তাই কাজ করার সময় বা বাড়ির বাইরে বের হলে চুল ভালোভাবে বেঁধে তবেই বের হোন। এতে স্বস্তি মিলবে।  

এসির ব্যবহার

যাদের বাড়িতে এসি রয়েছে, তারা গরমের হাত থেকে নিস্তার পেতে এসির ব্যবহার করুন। এসি বা এয়ারকুলার ঘর ঠান্ডা রাখতে কাজ করে। তাই তাপমাত্রা অসহনীয় মনে হলে এসির সাহায্য নিন। তবে সারাক্ষণ এসিতে থাকার অভ্যাস করবেন না। এতে হিসে বিপরীত হতে পারে।

পানীয়

গরমের সময়ে তাপের তীব্রতার কারণে ঘাম বেড়ে যায়। ফলে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় পানির অনেকটাই বের হয়ে যায়। যে কারণে পানিশূন্যতা পর্যন্ত দেখা দিতে পারে! তাই গরমের সময়ে নানা ধরনের পানীয় যেমন পানি, ডাবের পানি, শরবত, ঘোল, ফলের রস ইত্যাদি পান করা উচিত। প্রতিদিন অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করতে হবে।

অপ্রয়োজনে বাইরে বের হবেন না

প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হবেন না। কারণ বাইরে রোদ ও ধুলোবালির কারণে আপনি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। বিশেষ করে দুপুরের দিকে চেষ্টা করুন বাইরে না থাকার। বিকেলে রোদ পড়ে এলে বের হোন।