রান্নাঘরের যে ৫ উপাদান কখনো মুখে ব্যবহার না
ত্বকের যত্নে আমরা এখন অনেকটাই সচেতন। দোকান থেকে কেনা কেমিক্যালযুক্ত পণ্য ব্যবহার করার বদলে রান্নাঘরের বিভিন্ন উপাদান দিয়ে ত্বকের নিয়মিত যত্ন নিচ্ছেন বেশিরভাগ রূপসচেতন মানুষ। সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী মূল্যের উপাদানগুলো ক্লিনজার, স্ক্রাব, টোনার এবং ফেস মাস্ক হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে কারণ অনেকেরই ধারণা যে প্রাকৃতিক এসব পণ্য ত্বকের কোনো ক্ষতি করে না। কিন্তু এই ভুল ধারণা ত্বককে ক্ষতির দিকে নিয়ে যেতে পারে কারণ রান্নাঘরের অনেক উপাদান মুখে লাগানোর উপযুক্ত নয়। জেনে নিন রান্নাঘরের কোন ৫ উপাদান কখনো সরাসরি মুখে ব্যবহার করবেন না-
লেবু
বিজ্ঞাপন
লেবুতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে অনেকে পিগমেন্টেশন সমস্যা সমাধান এবং ত্বক উজ্জ্বল করার জন্য এটি সরাসরি মুখে ব্যবহার করেন। লেবু অত্যন্ত অ্যাসিডিক। এটি ত্বকের পিএইচ ভারসাম্যকে ব্যাহত করতে পারে এবং মারাত্মক অ্যালার্জি, অতিরিক্ত শুষ্কতা, লালচেভাব এবং ত্বকে ফুসকুড়ির কারণ হতে পারে। আপনার ত্বকের ধরন যদি সংবেদনশীল বা সমস্যাযুক্ত হয়ে থাকে তবে লেবু সরাসরি ব্যবহার করলে আরও খারাপভাবে লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তাই মুখে কখনোই সরাসরি লেবু ব্যবহার করবেন না। বরং উপটান বা ফেসমাস্কে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
সাদা চিনি
ঘরে ফেস স্ক্রাব তৈরি করলে তাতে চিনি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ চিনির তীক্ষ্ণ প্রান্তগুলো সংবেদনশীল মুখের টিস্যুর ক্ষতি করতে পারে। নিয়মিত সাদা চিনির মাধ্যমে এক্সফোলিয়েটিং করার কারণে ত্বকের পৃষ্ঠে মাইক্রো টিয়ারের ফলে প্রদাহ, জ্বালা, লালচেভাব, শুষ্কতা এবং অন্যান্য ত্বকের সমস্যা হতে পারে। ব্রণের সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিদের কখনই সাদা লবণ বা চিনি ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ এতে দাগ, লালচেভাব এবং প্রদাহ আরও বাড়তে পারে।
বেকিং সোডা
বেকিং সোডা দিয়ে মুখ পরিষ্কার করলে, ফেস মাস্ক বা ফিজিক্যাল এক্সফোলিয়েটর হিসেবে উপাদানটি প্রয়োগ করলে ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক তেলের স্তর কমে হয়। এটি সংক্রমণ এবং ব্রণের সমস্যাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। বেকিং সোডা মুখে ব্যবহার করলে তা স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া এবং এনজাইমের সূক্ষ্ম ভারসাম্যকে নষ্ট করে। এটি মুখে প্রয়োগের ফলে সূর্যের সংবেদনশীলতা এবং হাইপারপিগমেন্টেশন হতে পারে। সুতরাং, এটি ব্যবহার করে ত্বকের ক্ষতি করবেন না।
দারুচিনি
দারুচিনি দুর্দান্ত স্বাদ এবং গন্ধের কারণে খুব ভালো একটি মসলা হিসেবে পরিচিত। তবে এই মসলা কখনোই সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ এতে ত্বকের উপকারের বদলে ক্ষতি হবে বেশি। মসৃণ এবং দাগমুক্ত ত্বকের জন্য মধু ও অলিভ অয়েলের সঙ্গে সামান্য দারুচিনির গুঁড়া ব্যবহার করতে পারেন।
ভোজ্য তেল
ভোজ্য তেল ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের উপরিভাগে কিছু বাড়তি আর্দ্রতা যোগ হতে পারে, কিন্তু এর ফলে ছিদ্র বন্ধ হয়ে ব্রণের সমস্যা বাড়তে পারে। এছাড়াও, পরিশোধিত তেলগুলো অত্যন্ত রাসায়নিক দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করা হয় এবং মুখে ব্যবহার করলে তা ত্বকের ক্ষতি করে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে