যখন আমরা কারো সঙ্গে সামনাসামনি দেখা করি তখন তাদের শারীরিক ভাষা, মুখের অভিব্যক্তি, টোন ইত্যাদির মাধ্যমে তাদের বুঝতে পারা সহজ হয়। কিন্তু মেসেজের ক্ষেত্রে অপর প্রান্তের ব্যক্তিটিকে বুঝতে পারা সহজ নয়। অনেক সময় এটি অনেক ভুল বোঝাবুঝির কারণও হতে পারে। অনেকে আবার মিথ্যা বলার জন্য মেসেজের দ্বারস্থ হয়ে থাকেন। কেউ যদি মেসেজে আপনাকে মিথ্যা বলে তাহলে কীভাবে বুঝবেন? জেনে নিন ৫ উপায়-

অস্পষ্টতা

আপনি যার সঙ্গে কথা বলছেন, যদি তার কথায় অনেক বিষয়ে অস্পষ্টতা থাকে তাহলে বুঝবেন এর ভেতরে কোনো না কোনো মিথ্যা লুকিয়ে আছে। অনেকে কিন্তু অর্ধেক সত্যির সঙ্গে অর্ধেক মিথ্যা মিশিয়ে বলেন। তখন সেটি বুঝতে পারা কিছুটা কঠিন হয়। তবে আপনি যদি মনোযোগ দিয়ে তার মেসেজগুলো পড়েন, তখন অসঙ্গতিগুলো ধরতে পারবেন।

উত্তর দিতে বেশি সময় লাগলে

হয়তো আপনি এমন কোনো বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলেন যেটির রিপ্লাই দেওয়ার জন্য খুব একটা সময়ের দরকার হয় না বা চিন্তা করার প্রয়োজন হয় না, কিন্তু সে অনেক সময় পরে উত্তর দিচ্ছে, এর মানে হলো সে আপনাকে মিথ্যা কিছু বলছে। খেয়াল করুন, অপরপাশের ব্যক্তি কি মেসেজের প্রত্যুত্তর দেওয়ার জন্য অনেক বেশি সময় নেয়? চ্যাটিং বক্সের নিচে টাইপিং শব্দটি দেখা যাচ্ছে, কিন্তু তিনি অনেক সময় পরেও কিছু লেখেননি, এর মানে হতে পারে কোনো মিথ্যা আপনার সামনে উপস্থিত হতে যাচ্ছে।

এলোমেলো প্রশ্ন করুন

আপনি যে প্রতিক্রিয়া পাবেন তার বিশদ বিবরণে মনোযোগ দিন। উত্তর কি খুব জটিল? এটি হতে পারে আপনার জন্য সতর্ক সংকেত। কেউ কেউ খুবই চমকপ্রদভাবে আপনার সামনে গল্প সাজিয়ে তুলে ধরবে। অনেক সময় এর পেছনে কোনো শক্ত কারণও থাকে না। এ ধরনের মানুষেরা হলো প্যাথলজিক্যাল মিথ্যাবাদী। মিথ্যাটি ধরতে চাইলে তাদের এলোমেলো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন, তখন তারা ফের সাজিয়ে মিথ্য বলতে পারবে না।

প্রশ্ন ফাঁকি

আপনি যখন মেসেজে তার কাছে কিছু জানতে চাইছেন কিন্তু সে উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যাচ্ছে, এর মানে হতে পারে সে আপনার কাছে কিছু লুকাচ্ছে। কেউ কেউ প্রশ্নের একটি অংশের উত্তর দেবে এবং অন্য অংশটির এমন কোনো উত্তর দিচ্ছে যেটি সত্য নয়। এতে আপনাকে বিভ্রান্ত করা সহজ হবে।

ইমোজির ব্যবহার

আপনি হয়তো বিস্তারিত কিছু জানতে চেয়ে মেসেজ করেছেন কিন্তু সে কোনো না কোনো ইমোজি দিয়ে উত্তর দিয়ে যাচ্ছে। এর অর্থ হতে পারে সে আপনার নির্দিষ্ট প্রশ্নটি এড়িয়ে যাচ্ছে।