সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে নিজের দিকে তাকানোরও সময় পান না। এদিকে হঠাৎ একদিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখতে পেলেন বয়স যেন বেড়ে গেছে অনেকখানি! যেন আপনাকে বয়সের আগেই বয়স্ক লাগছে দেখতে। ভালো ভালো প্রসাধনী ব্যবহার করে, চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেও লাভ হচ্ছে না তেমন। কিন্তু কেন? এই যে বয়সের আগেই বুড়িয়ে যাওয়া, এর নেপথ্যেই বা কারণ কী? 

দীর্ঘ সময় একটি সুস্থ জীবন পেতে হলে মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম। খেতে হবে ভালো খাবার; ঘুম, শরীরচর্চা সবই করতে হবে নিয়ম মেনে। নিজেকে রাখতে হবে ইতিবাচক। এমন কারও পরামর্শ নিতে হবে যিনি আপনাকে সঠিক পথ বাতলে দেবেন। অনেক সময় দেখা যায় জীবনযাপনের ভুল পদ্ধতির কারণেও বয়স বেড়ে যেতে পারে। এরকম হলে ডায়াবেটিস, রক্তচাপ ইত্যাদি মেপে নেওয়া দরকার। 

বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষেরই মেজাজ যেন খিটমিটে হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে সম্পর্কের ক্ষেত্রে জটিলতা, আর্থিক দুরাবস্থা, ট্রাফিক জ্যাম, অফিসে কাজের চাপ এরকম আরও অসংখ্য কারণ থাকতে পারে। এগুলো থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে। পাল্লা দিয়ে কাজ করতে গিয়ে নিজেকে অসুস্থ করে ফেলবেন না। বরং কিছু কাজ কম করলেও ক্ষতি নেই, নিজেকে সুস্থ রাখা জরুরি।

সব সময় বাড়িতে থাকা

অনেকেরই অভ্যাস থাকে সারাদিন বাড়িতে বসে থাকার। এটি একেবারেই উচিত নয়। কারণ সেখান থেকে শিরদাঁড়ায় যেমন সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেইসঙ্গে হতে পারে ভীষণরকম মেজাজ খারাপ। তাই প্রতিদিন কিছুক্ষণের জন্য হলেও বাড়ি থেকে বের হয়ে ঘুরে আসুন। এতে মন ভালো থাকবে।

বাইরের খাবার খাওয়া

বাইরের খাবার যতই লোভনীয় হোক না কেন, তা এড়িয়ে চলুন। কারণ বাইরে যেসব অতিরিক্ত তেল-ঝোল, মসলাযুক্ত খাবার পাওয়া যায় সেগুলো শরীরের জন্য মোটেই ভালো নয়। বাইরের খাবার বেশি খেলে তা পেটের সমস্যা বাড়িয়ে তুলবে। এসব সমস্যার কারণে অসুস্থতা লেগে থাকবে। বয়সও বেড়ে যাবে দ্রুতই। 

হাসিখুশি না থাকা

কিছু মানুষ আছেন যারা সব সময়েই মুখ গম্ভীর করে থাকেন। হাসতে যেন তাদের একদমই ইচ্ছা করে না। জীবনে এত বেশি গাম্ভীর্য রেখে লাভ কী! আপনি যদি হাসিখুশি না থাকেন তবে তার ছাপ পড়বে চেহারায়ও। আপনাকে অল্পতেই অনেক বেশি বয়স্ক দেখাবে।

ঘুমের অভাব

আপনার বয়স বাড়িয়ে দিতে পারে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কম ঘুম। আপনি যদি পর্যাপ্ত না ঘুমান তবে তার প্রভাব জীবনে পড়বেই। পরদিন কাজ করার মতো শক্তি পাবেন না। শরীর তো দুর্বল হবেই, সেইসঙ্গে মেজাজও হবে খিটিমিটি। এতে বয়সের ছাপ দ্রুতই পড়বে চেহারায়। 

লক্ষ্য ঠিক না করা

কোনো কাজ যদি উদ্দেশ্যহীনভাবে করেন তবে তাতে যতই পরিশ্রম দিন না কেন, দিনশেষে সফল হওয়া সম্ভব হবে না। কারণ জীবনে লক্ষ্য না থাকলে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। এভাবে লক্ষ্যহীন যাত্রা আপনাকে দিশেহারা করে দিতে পারে, আপনাকে বয়সের আগেই দেখতে বয়স্ক লাগার এটি হতে পারে অন্যতম কারণ।