স্বামী শিশুসুলভ আচরণ করে? যেভাবে সমাধান করবেন
বয়স বাড়লেও সবার বুদ্ধি একইরকম পরিপক্ক হয় না। কেউ কেউ আছেন, যারা কথা কিংবা আচরণের ক্ষেত্রে ভেবেচিন্তে বলেন না। এটি শিশুদের ক্ষেত্রে হলে কেউ কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায় না। কারণ শিশুরা কেবল শেখার মধ্যেই থাকে। তাই তারা অনেক কথা না বুঝেই বলে ফেলে। কিন্তু বড়দের ক্ষেত্রে হলে? তখন মেনে নেওয়া কঠিন।
দুঃখজনক বিষয় হলো আমাদের চারপাশে এমন অনেকেই আছে, যাদের বয়স বাড়লেও আসেনি মানসিক পরিপক্কতা। তারা হুটহাট এমন সব কথা বলে ফেলে বা আচরণ করে ফেলে যে কারণে কাছের মানুষদের পড়তে হয় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে। সবচেয়ে বেশি সমস্যা দেখা দেয় এ ধরনের ব্যক্তি বিয়ে করার পর। কোনো পুরুষ যদি অপরিপক্ক আচরণ করে তাহলে তার স্ত্রীর সমস্ত সুখ-আনন্দ হারিয়ে যেতে সময় লাগবে না।
বিজ্ঞাপন
আপনার স্বামী ম্যানার, এটিকেট মেনে চলতে না জানে, যদি কথাবার্তায় শিশুসুলভ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেয় তবে প্রথমেই সম্পর্ক ভাঙার চেষ্টা করবেন না। সব সমস্যারই সহজ কোনো সমাধান থাকে। সেই সমাধান খুঁজে বের করতে হয়। এক্ষেত্রে আপনারও আছে কিছু করণীয়। জেনে নিন-
ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না
তার অপরিপক্কতা তাকে এমন অনেক কথা বলতে বাধ্য করবে যা শিশুসুলভ এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন। সেসব নিয়ে পড়ে থাকবেন না। আপনি যা করেননি তার জন্য সে আপনাকে দোষ দেবে। তবে প্রতিক্রিয়া করবেন না বা ব্যক্তিগতভাবে গ্রহণ করবেন না। সে অনেক অনর্থক কাজ করতে পারে। তার সঙ্গে ঝগড়া বাঁধানোর দরকার নেই। বরং তার সঙ্গে মানিয়ে নিন, তাকে ঠান্ডা মাথায় বুঝিয়ে বলুন। এতে সে নিজেই ধীরে ধীরে বুঝতে পারবে।
প্রতিক্রিয়া করবেন না কিন্তু সাড়া দিন
শান্ত থাকুন। আবেগগতভাবে তাকে ভালোভাবে ম্যানিপুলেট করুন। যদি প্রতিক্রিয়া দেখান তবে তার অস্বাস্থ্যকর মানসিক আচরণের শিকার হতে পারেন। কিন্তু সে যদি মানুষের সামনে অনেক সমস্যার জন্য আপনাকে দোষারোপ করে তখন কী করবেন? অবশ্যই সেসবের উত্তর দেবেন, তবে পরে। ওই সব মানুষের সামনে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না, এতে আপনার কোনো উপকার হবে না। বরং মানুষেরা পেছনে নানা সমালোচনার সুযোগ পাবে।
তার ইতিবাচক দিকে মনোনিবেশ করুন
ঠিক আছে, তিনি শিশুসুলভ, তবে তার নিশ্চয়ই কিছু ভালো দিকও রয়েছে! সেসব ইতিবাচক দিকে মনোযোগ দিন। যা তাকে আপনার প্রতি আকৃষ্ট করে তাতে মনোনিবেশ করুন। সে যে ভালো কাজগুলো করেছে তা চিন্তা করুন। তার ভালো কাজগুলোর প্রশংসা করুন। হতে পারে সে হতাশাজনক কিন্তু মন্দ মানুষ তো নয়!
মাত্রা অতিক্রম নয়
অপরিপক্ক আচরণের কারণে কখনো কখনো সে তার মাত্রা অতিক্রম করে ফেলতে পারে। সে যদি এমন কিছু করে তবে তাকে বুঝিয়ে বলুন এবং ব্যাখ্যা করুন যে সে কোথায় মাত্রা অতিক্রম করেছে। তাকে তার সীমানা বুঝতে দিন। এটি কখনো অতিক্রম করতে দেবেন না, কারণ পরবর্তীতে তা তার অভ্যাসে পরিণত হতে পারে।
কথা ও কাজে মিল রাখুন
আপনি যদি আপনাদের দুজনের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট অভ্যাস মেনে করতে চান, তবে তাকে এটি করতে বলার আগে নিজেই করুন। আপনি যে আচরণ আশা করেন তার উদাহরণ তৈরি করুন। তাকে দেখান কীভাবে কথা বলা উচিত, আচরণ করা উচিত কারণ স্পষ্টতই সে বড় হওয়ার সময় তার আচরণের বিষয়ে কঠোর ছিলো না। একটি শিশুকে যেভাবে শেখানো হয়, সেভাবে শেখাতে পারেন। আপনি তার মা নন তবে তার শিক্ষক তো হতে পারেন!