আন্দোলন নিয়ে ফোনালাপ ফাঁস : আমীর খসরুর মামলার পুনঃতদন্ত চান বাদী

২০১৮ সালে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় নওমী নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে ‘ফোনালাপ’ ফাঁসের ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলা থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে অব্যাহতি দিয়ে দাখিল করা অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করা হয়েছে। মামলার বাদী চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর মামলাটি পুনঃতদন্তের আবেদন জানিয়েছেন। 

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এস কে এম তোফায়েল হোসেনের আদালতে এ আবেদন করা হয়। ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী।

তিনি বলেন, আদালত প্রাথমিক শুনানি শেষে নারাজি আবেদনটি পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছেন। মামলাটি করা হয়েছিল বিশেষ ক্ষমতা ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনে। তদন্তকারী কর্মকর্তা যে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলার প্রমাণ পেলেও তথ্যপ্রযুক্তি আইনে পাওয়া যায়নি। আমরা এর বিরুদ্ধে নারাজি দিয়েছি। মামলাটি পুনঃতদন্তের আবেদন জানিয়েছি।

এর আগে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় নওমী নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে ‘ফোনালাপ’ ফাঁসের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছিল চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। অভিযোগপত্রে আমীর খসরুর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলা সাবেক ছাত্রদল নেতা ব্যারিস্টার মিলহানুর রহমান নাওমীকেও আসামি করা হয়েছে। 

অভিযোগপত্রে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছিলো।

উল্লেখ্য,২০১৮ সালের ২৯ জুলাই ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে বাস চাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। এরপর নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলনের মধ্যে আমীর খসরুর মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে কুমিল্লায় অবস্থানরত তৎকালীন ছাত্রদল নেতা মিলহানুর রহমান নাওমীর টেলিফোনে একটি কথোপকথন ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে আমীর খসরু ওই ছাত্রদল নেতাকে আন্দোলনে নেমে পড়তে বলেছিলেন। ওই ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর ২০১৮ সালে ৪ আগস্ট চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর বাদী হয়ে আমীর খসরুকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। 

কেএম/এসকেডি