মহসিনের আত্মহত্যার ২০২টি ভিডিও ইন্টারনেট থেকে সরানো হয়েছে
মডেল মুশফিকা তিনার বাবা ও চিত্রনায়ক রিয়াজের শ্বশুর আবু মহসিন খানের ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার ভিডিও ফেসবুক থেকে ১৯০টি, ইউটিউব থেকে ৬টি, লাইকি থেকে ৩টি ও টিকটক থেকে ৩টি লিংক অপসারণ করা হয়েছে।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে বিটিআরসির দাখিল করা প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। আজ এই প্রতিবেদনের ওপর পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিটিআরসির আইনজীবী ব্যারিস্টার রেজা ই রাকিব ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট ওই ব্যক্তির আত্মহত্যার ভিডিও ইন্টারনেট থেকে ছয় ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করতে নির্দেশ দেন। ভিডিওটি যেকোনো ধরনের ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ওইদিন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসিকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। একইসঙ্গে বিটিআরসিকে এ বিষয়ে বুধবারের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেন আদালত।
গত বুধবার রাত ৯টার দিকে ধানমন্ডির ৭ নম্বর রোডের একটি বাড়ির লেভেল-৫ এর একটি ফ্ল্যাটে নিজে বন্দুক মাথায় ঠেকিয়ে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন আবু মহসিন খান। ওই ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা ওই ব্যবসায়ী সম্পর্কে বাড়ির অন্যান্য ফ্ল্যাটের বাসিন্দা ও দারোয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
ভবনের কেয়ারটেকার মো. গোলাম রাব্বী বলেন, মহসিন খান ওই বাসায় একা থাকতেন। তার বাসায় কোনো কাজের বুয়া বা ড্রাইভার ছিল না। একাই রান্নাবান্না করতেন, একাই থাকতেন। আবার অনেকসময় বাইরে থেকে খাবার আনাতেন। তার একটা প্রাইভেটকার আছে। সেটা তিনি নিজেই ড্রাইভ করতেন।
রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, নিহতের স্ত্রী-সন্তান অস্ট্রেলিয়া থাকেন। আমরা জানতে পেরেছি ধানমন্ডির বাসায় তিনি একা থাকতেন। ব্যবসা-বাণিজ্যেও লোকসান করেছেন। ২০১৭ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত বলে জেনেছি। এসব কারণে হতাশা থেকে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে পুলিশ ধারণা করছে।
এমএইচডি/জেডএস