দুর্নীতির মামলায় পুঠিয়া থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সাময়িক বরখাস্ত) সাকিল উদ্দিন আহমেদের জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে চার মাসের মধ্যে এই মামলার তদন্ত করে শেষ করতে বলেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোম্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম কে রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক জানান, এজাহার মতে রাজশাহীর পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অপরাধমূলক অসদাচরণ করে ২০১৯ সালের ১১ জুনের পুঠিয়া থানার ৮ নং মামলায় ৮ জন আসামির নাম উল্লেখ থাকা সত্বেও আসামিদেরকে বাঁচাবার উদ্দেশ্যে কারসাজি মূলকভাবে মামলার এজাহার পরিবর্তন করেন। এছাড়া প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে আসামির নাম ও ঠিকানা সম্বলিত কলামে 'অজ্ঞাতনামা' লিখে মামলা রুজু করার অভিযোগে দুদক তার বিরুদ্ধে মামলা করেন।

গত বছরের ২৪ জানুয়ারি দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আল-আমিন বাদী হয়ে রাজশাহীর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

পরে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে গত ১২ ডিসেম্বর রাজশাহী বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে সাবেক এই ওসি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। ১৫ ডিসেম্বর তার জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন।

এমএইচডি/জেডএস