বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসার কোনো শিক্ষককে ৬ মাসের বেশি সময় সাময়িক বরখাস্ত করে রাখা যাবে না- এমন নির্দেশনা দিয়ে সংশ্লিষ্ট রিট মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। রায়ে বলা হয়েছে, কোনো শিক্ষককে ৬ মাসের বেশি সময় বরখাস্ত করে রাখলে ওই আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।

১৪ বছর ধরে সাময়িক বরখাস্ত থাকা মাগুরার স্কুল শিক্ষক বাদশা মিয়ার রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এ রায় দেওয়া হয়েছিল গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর। আজ ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের স্বাক্ষরের পর ১৫ পৃষ্ঠার লিখিত এ রায় প্রকাশ করা হয়।

রায়ে বেসরকারি শিক্ষকদের চাকরিবিধিতে এই বিধান (৬ মাসের বেশি বরখাস্ত নয়) সংযোজন করতে বলেছেন আদালত। একইসঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি ইস্যু করে সব শিক্ষা বোর্ডকে এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করতে বলা হয়েছে।

রায়ে রিটকারীর সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে তাকে ৯০ দিনের মধ্যে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে বলেছেন আদালত। এছাড়া তার বকেয়া বেতন-ভাতাও পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।

রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির রায় প্রকাশের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর স্কুল, কলেজ, মাদরাসার কোনো শিক্ষককে ৬ মাসের বেশি সাময়িক বরখাস্ত করে রাখা যাবে না বলে রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে আদালত বলেছেন, কোনো শিক্ষককে এই সময়ের বেশি বরখাস্ত করে রাখলে ওই আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।

এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর রায় দেন।

১৪ বছর ধরে সাময়িক বরখাস্ত থাকা মাগুরার স্কুল শিক্ষক বাদশা মিয়া উচ্চ আদালতে এ রিট দায়ের করেছিলেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

রায়ের দিন (৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১) অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির জানান, বেসরকারি শিক্ষকদের সাময়িক বরখাস্ত রাখার কোনো মেয়াদ ছিল না। আজকের রায়ে ৬ মাসের সময় নির্ধারিত হলো। এখন কোনো অভিযোগে কাউকে বরখাস্ত করলে ৬ মাসের মধ্যে অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে হবে। অন্যথায় ৬ মাস পরে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ আর কার্যকর থাকবে না। 

এমএইচডি/জেডএস/জেএস