দুদকের মামলায় কাস্টমসের দুই কর্মকর্তা কারাগারে
ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি রাজস্বের ২৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫০২ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দুদকের দায়ের করা মামলায় কাস্টমসের দুই রাজস্ব কর্মকর্তাকে আত্মসমর্পণের পরে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে আত্মসমর্পণের পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু।
কারাগারে যাওয়া দুই কর্মকর্তা হলেন- চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের রাজস্ব কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন মাহমুদ খান ও চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম। তবে দুদকের মামলা দায়েরের পরে রবিউলকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আর নাসির উদ্দিন অবসরে গেছেন।
বিজ্ঞাপন
দুদকের আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, দুদকের দায়ের করা মামলায় দুই আসামি উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করেছিলেন। উচ্চ আদালত তাদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী দুইজন জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
দুদক ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে দুদকের উপ-পরিচালক মো. আবু সাঈদ বাদী হয়ে সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি রাজস্বের ২৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫০২ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দুদকের এই দুই কর্মকর্তাসহ চারজনকে আসামি করা হয়। মামলার অপর দুই আসামি নেপচুন ট্রেডিং এজেন্সির মালিক ইকবাল হোসেন মজুমদার ও বনলতা শিপিং এজেন্সির মালিক আব্দুল মান্নান চৌধুরী পলাতক আছেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে এই ঘটনা ঘটে। আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রতারণা ও জালিয়াতির জন্য জাল কাগজপত্র তৈরি ও ব্যবহার করেন। নিজেরা লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে ও অন্যকে লাভবান করার অসৎ উদ্দেশ্যে সরকারি ২৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫০২ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। তাই তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
কেএম/আইএসএইচ