৩২৫ কোটি ৭৬ লাখ ৩০ হাজার ৯৫৫ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীসহ চারজনের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আব্দুল মজিদ শুনানি শেষে চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। একইসঙ্গে আদালত ২ মার্চ থেকে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নির্ধারণ করেন। 

মামলার বাকি তিন আসামি হলেন; আসলাম চৌধুরীর স্ত্রী জামিলা নাজনীন মাওলা, আসলাম চৌধুরীর দুই ভাই আমজাদ হোসেন চৌধুরী ও জসিম উদ্দিন চৌধুরী।

ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী কাজী ছানোয়ার হোসেন লাবলু। তিনি বলেন, পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রাইজিং স্টিল মিলের নামে আরব-বাংলাদেশ (এবি) ব্যাংকের চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ শাখা থেকে ৩২৫ কোটি ৭৬ লাখ ৩০ হাজার ৯৫৫ টাকা ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করার অভিযোগে ২০১৬ সালের ১৬ জুলাই মামলাটি দায়ের করে দুদক। তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৭ আগস্ট আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন। আজ আসলাম চৌধুরীসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। অপরদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা আসলামকে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। 

তিনি আরও বলেন, এ মামলার শুরু থেকে আসলাম চৌধুরীর দুই ভাই আমজাদ হোসেন চৌধুরী ও জসিম উদ্দিন চৌধুরী পলাতক রয়েছেন। আর জামিলা নাজনীন জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ আদালতে আসলাম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। শুনানি শেষে তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 

উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের রাইজিং স্টিল লিমিটেড পুরাতন জাহাজ ক্রয়ের জন্য ২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে তিনটি ঋণপত্রের (এলসি) বিপরীতে এবি ব্যাংক চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ৩২৫ কোটি ৭৬ লাখ ৩০ হাজার ৯৫৫ টাকা ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করেননি আসামিরা। এ জন্য দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় দুদকের তৎকালীন উপ-সহকারী পরিচালক মানিক লাল দাশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

২০১৬ সালের ১৫ মে ঢাকার খিলক্ষেত থেকে গ্রেফতার হন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির তৎকালীন আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরী।

কেএম/এসকেডি