ক্ষমতার অপব্যবহারে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ইউএনও এবং এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

রোববার (৩১ জানুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায়   সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বগুড়ার শেরপুর নিবাসী মো. তৌহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের পক্ষে রিটটি দায়ের করেন।

আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির জানান, গত বছরের ২ ডিসেম্বর আবেদনকারীর ডেইরি ফার্মে সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার এসি ল্যান্ড সুবির কুমার দাসের সঙ্গে আবেদনকারীর বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছোট ভাই আহসান হাবিবের সামান্য ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। পরে আবেদনকারীর আরেক ছোট ভাই একটি সরকারি কলেজের শিক্ষক  তারিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে মিটমাট হয়ে যায়। কিন্তু ঘটনার এক ঘণ্টা পর এসি ল্যান্ড রায়গঞ্জ থানার ১০ পুলিশ সদস্যকে আবেদনকারীর শেরপুরের বাড়িতে পাঠান। পুলিশ সদস্যরা ওই ঘটনা সংক্রান্ত খোঁজ খবর নেন। তারা আহসান হাবিবকে থানায় গিয়ে এসি ল্যান্ডের কাছে আরও একবার সরি বলার জন্য বলেন। আহসান যাবেন বলে জানান। কিন্তু পুলিশ স্থান ত্যাগ করার সময় আবেদনকারীর ছোট ভাই আরিফুল ইসলামকে ধরে থানায় নিয়ে যান। পরে উপজেলায় মোবাইল কোর্ট বসিয়ে এসি ল্যান্ড আরিফুলকে ২ মাসের কারাদণ্ড দেন। 

একইদিন এসি ল্যান্ডের নির্দেশে আবেদনকারীর ভাই তারিকুল ইসলামকে বেদম প্রহার করা হয়। একই দিনে রায়গঞ্জ উপজেলার ইউএনও তার প্রশাসনিক ক্ষমতা ব্যবহার করে তারিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রংপুর কারমাইকেল কলেজ, পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের চিঠি পাঠান। তিনি আরও একটি চিঠি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ডিন এবং সভাপতি বরাবর পাঠান। চিঠিতে তিনি আবেদনকারীর ছোট ভাই আহসান হাবিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেন। 

মোবাইল কোর্টের আদেশের কপি ৫ দিনের মধ্যে সরবরাহ করার বিধান থাকলেও ২৩ দিন পর আদেশ দেয়। ঘটনার দিন থেকেই আবেদনকারীর পরিবার প্রশাসনিক হুমকির শিকার হচ্ছেন। ঘটনার প্রেক্ষাপটে আবেদনকারী জনপ্রশাসন সচিব, জেলা প্রশাসক বরাবর আইনি নোটিশ পাঠান। কিন্তু এখনও ইউএনও এবং এসিল্যান্ড এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

তাই তিনি উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। রিট আবেদনে ঘটনাগুলোর বিচারবিভাগীয় তদন্তের পাশাপাশি তিনি পরিবারের নিরাপত্তাও চেয়েছেন।  

এমএইচডি/জেডএস