ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ভুয়া’ ভিডিও ছড়িয়ে উসকানির অভিযোগে গ্রেফতার বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক রুমা সরকারকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আইনজীবী লাবনী আক্তার ও মো. শাহীনুজ্জামান। পরে শাহীনুজ্জামান জানান, আদালত তাকে চার্জশিট না হওয়া পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন।

গত ১৯ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর বেইলি রোডের বাসা থেকে রুমা সরকারকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার বিরুদ্ধে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫/২৮/৩১ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। এরপর দুই দিনের রিমান্ড শেষে ২৪ অক্টোবর জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, তিনি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নোয়াখালীর যতন সাহার হত্যার শিরোনামে একটি অন্য ঘটনার ভিডিও আপলোড করে কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের মাধ্যমে গুজব সৃষ্টির মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্টের অপপ্রয়াস চালান, যা বিভ্রান্তিমূলক। প্রকৃতপক্ষে ভিডিওটি গত ১৬ মে বিকেল চারটার সময় ঢাকার পল্লবী থানাধীন ডি-ব্লকের শাহিন উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার ভিডিও।

এ সময়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২১ কেন্দ্রিক সহিংসতাকে কেন্দ্র করে সারাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্টর ঘটনা ঘটানো হচ্ছিল। দেশের এই সময়ে এ ধরনের স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে রুমা সরকার গত ১৯ অক্টোবর দুপুর ২টা ৩৫ মিনিট থেকে ২টা ৪২ মিনিট পর্যন্ত ফেসবুক লাইভে আসেন।

লাইভে তিনি বলেন, ‘আমি ভুল করে যতন সাহার মৃত্যুর দৃশ্য দেখে ফেলেছিলাম। গরুর মাংস যেভাবে কুপিয়ে বানায়, আহা হিন্দুদের প্রতি তোর এত ক্ষোভ। তোরা অমানুষ, হত্যার পর এইভাবে কোপালি কেন?’

দেশের সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে নাজুক পরিস্থিতিতে তার লাইভ ভিডিওটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ও ভয়ভীতি ছড়াতে সাহায্য করে।

এমএইচডি/জেডএস